(সতর্কতাঃ কিছুটা অশ্লীল) ধর্ষন শব্দটির সাথে আমরা সবাই পরিচিত। প্রাচীনকাল থেকে এটা হয়ে আসছে। ধর্ষন সবসময় একটি ছেলেই করে। ধর্ষনের স্বীকার একজন মেয়েকেই হতে হয়। ব্যাতিক্রম কোন উদাহরন নয়। আমরা ঢালাও ভাবে যেগুলোকে ধর্ষন বলি, তার বেশীর ভাগই ধর্ষন নয়। ধর্ষনের সংগা অনেক ব্যাপক। এক কথায় - এমন এক কায়দায় যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা যেখানে মেয়েটি মোটেও রাজী নয়। আমাদের দেখা বা জানা ধর্ষনের বেশীরভাগই ফুসলিয়ে, লোভ দেখিয়ে, ভয় দেখিয়ে, প্যাচে ফেলে, ব্লাকমেইল করে - প্রথমে মেয়েটিকে যৌন সম্পর্কের জন্য রাজী করানো হয়। এর পরে মেয়েটিই নিজেই, নিজেকে উজার করে লোকটির হাতে তুলে দেয়। ধর্ষন কিন্তু এমন নয়।
সাধারন যৌন সম্পর্ক, যেমন স্বামী-স্ত্রী এর মধ্যে মিলনের আগে
উভয়কেই প্রথমে যৌন উত্তেজিত হতে হয়। একেবারে কথা নেই বার্তা নেই, হুট করে কেউ
গাড়ীটিকে গ্যারেজে ঢুকিয়ে দেয় না। প্রথমে বেশ সময় নিয়ে ইঞ্জিন গরম করে
নেয়। এর পরে মুল কাজ শুরু হয়। নারী ঠিক
মতন উত্তেজিত না হলে যৌন মিলন তার কাছে সুখের চেয়ে যন্ত্রনাই বেশী।
তার পরেও কোন পুরুষ যদি চায় - নারীকে উত্তেজিত না করেই মিলন শুরু করে দিতে পারে।
নারীর জন্য যন্ত্রনাদায়ক হলেও, এটা করা সম্ভব। কিন্তু পুরুষ নিজে উত্তেজিত না
হয়ে কখনোই যৌন মিলন শুরু করতে পারে না। কারন তার জিনিসটি লৌহদন্ডের মতন না হলেও
অন্তত প্লাস্টিকের দন্ডের মতন শক্ত করতে হবে। শক্ত না হলে তো সে ভেতরেই
ঢুকতে পারবে না, খেলা শুরু করা তো অনেক পরের কথা। সারা দেশে অমুক তমুক টোটকা ওষুধ বিক্রি হয় , সারা বিশ্বে উচ্চমুল্যের
অষুধ বিক্রি হয় - সবই এই দন্ডকে শক্ত রাখার জন্যে। অন্তত এমন শক্ত হতে হবে যেন
ভেতরে ঢুকতে পারে।
এবার আসি ধর্ষনের কথায়। মেয়েটির ব্যাথা লাগল, নাকি কেটে / ছিড়ে
গেল, ইত্যাদি বিষয় ধর্ষক একেবারেই চিন্তা করে না। ধর্ষক নিজে মজা লুটতে পারলেই হল।
মেয়েটি মরে গেলেও তার কিছু আসে যায় না। কিন্তু মজা লুটতে গেলে
ধর্ষককে তো অন্তত শক্ত হতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে শক্ত হওয়া কতখানি সম্ভব - আসুন
সেটা দেখে নেই।
বিভিন্ন সিনেমা নাটক ইত্যাদিতে ধর্ষনের দৃশ্য কম বেশী সবাই
দেখেছে। কিছু সিনেমাতে বেশ বিস্তারিত দেখায়। এই ধরনের সিনেমাতে
সাধারনত উদ্দেশ্য থাকে দর্শককে যৌন সুরসুরি দেওয়া। কাজেই দৃশ্যটি এমন ভাবে বানানো
হয় যেন সেটি দেখতে ভয়ঙ্কর না লাগে। কিছু পর্নো সিনেমা আছে যেখানে এমন ধর্ষনের
অভিনয় করা হয়। সেখানে তো আরো বেশী যৌনতা। মোট কথা, আমরা ধর্ষন বলেতে সিনেমায় যা
দেখি সেটা মোটেও ধর্ষন নয়। ধর্ষন জিনিসটি অনেকে অনেক ভয়বাহ। এমনকি, কোন দক্ষ
অভিনেত্রী চাইলেও ধর্ষনের ভয়বাহতা ফুটিয়ে তুলতে পারবেন না। ধর্ষন সত্যিই খুব
ভয়বাহ।
বছর দশেক আগে, দুটি আলাদা সময়ে, আমি এমন দুটি ছোট ভিডিও দেখেছিলাম যে আমার এখনো মনে হয় ওটা না
দেখলেই ভালো করতাম। একটি হল ২য় বিশ্বযুদ্ধে একজন বন্দি যোদ্ধাকে জবাই করছে।
জবাইয়ের সময়, মারা যাওয়া সেই লোকটির চোখের চাহনী আমি এখনো ভুলতে পারিনা। ৩-৪ দিন
ধরে আমি এক ধরনের মানষিক বিপর্যস্ত ছিলাম ওই ভিডিও দেখে। আরেকটি ভিডিও হল, মোবাইল
ক্যামেরায় তোলা, পাকিস্থানে (কোন গ্রামে) একটি স্কুলের
মেয়েকে ৩-৪ জন মিলে ধর্ষন করছে। এই ভিডিওটিও বেশ ছোট, তেমন বিস্তারিত কিছুই দেখানো
হয়নি, তাছাড়া কাচা হাতে তোলা। কিন্তু একটি জিনিস বোঝা গেছে। ইজ্জত
বাচানোর জন্য মেয়েটির কেমন আপ্রান চেস্টা করছে। শোনা গেছে তার মর্মস্পর্শী চিতকার।
মেয়েটির সেই চিতকার এখনো আমার কানে বাজে। ধর্ষনের দৃশ্যটি জবাই
করার দৃশ্যটির মতন একই ধরনের ভয়বাহ।
ধরুন, আপনি খাওয়া দাওয় দাওয়া করছেন। সেই সময় আপনার চোখের সামনে
ওই দৃশ্যটি চালানো হলে আপনি হয়ত বমি করে দিতে পারেন। একটু শক্ত মনের লোক হলে হয়ত
বমি করবেন না, কিন্তু সেই মুহুর্তে আর খেতে রুচি হবে না।
একইভাবে এই দৃশ্য দেখে মানুষ যৌন মিলন করার রুচিও হারাবে।এমনকি
যৌনভাবে উত্তেযিত এক পুরুষকে সেই ভিডিও দেখানো হলে সাথে সাথে সে শক্ত থেকে নরম হয়ে
যাবে। আশ্চর্যের বিষয় , যারা মেয়েটিকে ধর্ষন করছে তারা কিন্তু ঠিকই উত্তেজিত
হচ্ছে। এটা কিভাবে সম্ভব? যে দৃশ্যটি দেখলে আমি যৌন উত্তেজনা হারিয়ে ফেলি,
সেই
ধটনা যারা ঘটাচ্ছে, তারা উত্তেজিত হয় কিভাবে?
একবার ভেবে দেখুন, ওই বন্দী জবাইয়ের সময় আপনার হাতে ছুরিটি
ধরিয়ে দিলে আপনি কিন্তু জবাই করতে পারতেন না। আপনার মাথায় বন্দুক ঠেকালেও না। ঠিক
তেমনি পুরুষ অঙ্গ সাথে থাকলেই ধর্ষন করা যায় না। এর জন্য বিকৃত
রুচীর লোক হতে হয়। ধর্ষক হল বিকৃত যৌন
রুচীর অধিকারী। মেয়েটি যত চিতকার করবে, যত বাচতে চাইবে, যত আকুতি জানাবে, যত অসহায়
হবে - ধর্ষকের যৌন উত্তেজনা তত বাড়বে। মেয়েটির যে আকুতি দেখে আমি রুচী হারিয়ে
ফেলি, সেটা দেখেই ধর্ষকেরা মজা পায়। যৌন উত্তেজিত হয়। এই ধরনের বিকৃত রুচির
লোক সমাজে খুব কম। এরাই ধর্ষন করে। এমনকি, কিছু ধর্ষক এমনও আছে যারা
ধর্ষনের সময় মেয়েটিকে হত্যা না করলে চরম তৃপ্তি পায় না !! অন্য দিকে, যত বড় গুন্ডা, বদমাইশ, চোর ডাকাত
যেই হোক না কেন - তারা একটি মেয়ের অমন অবস্থা দেখে, শক্তই
হতে পারবে না, ধর্ষন তো অনেক পরের কথা।
ধর্ষকদের ব্যাপারে একটি মজার তথ্য হল, একজন ধর্ষক যখন কোন মেয়ে
ধর্ষন করার জন্য তার দিকে হাত বাড়ায়, তখন যদি মেয়েটি নিঃলজ্জ হয়ে যায়, বাধা না
দেয়। মেয়েটি যদি এমন বলে “আয়,
তোর জন্যই তো বসে আছি। তাড়াতাড়ি কর। কই এখনো এলি না। নে শুরু কর। কি, পারবি
তো?”। মেয়েটির এমন অদ্ভুত আচরন ধর্ষককে বিভ্রান্ত করে
ফেলে। কি করবে সেটা বুঝে উঠতে পারে না। ওরা চায় বাধা, শুনতে চায় মেয়েটির চিতকার।
কিন্তু মেয়েটি নিজেই যখন তাকে স্বাগত
জানায় তখন এক হাস্যকর পরিস্থিতি হয়। মেয়েটি নিজেকে উজাড় করে দেবার ভান
করছে ওদিকে ধর্ষক শক্তই হতে পারছে না। ধর্ষন করবে কিভাব? দুঃখের বিষয়, এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে, অভিনয় করারটা কোন মেয়ের জন্য সম্ভব নয়। এটা
সম্ভব হলে বেশীরভাগ ধর্ষন ঠেকানো যেত।
আমাদের দেশে ধর্ষনের যেসব ঘটনা শোনা যায় তাতে - মেয়েটিকে জোর করে বা ফাদে ফেলে রাজী করানো হয়। রাজী হবার পরে মেয়েটি স্বাভাবিকভাবেই নিজেকে উজার করে দেয়। আবার এমনও হয় যে,
ধর্ষকের যার পর নাই চেস্টার পরে এক সময় মেয়েটি নিজেকে সমর্পন করে দেয়। এর
পরে , একজন সুস্থ রুচীর লোকও তার সঙ্গে যৌন মিলন করতে পারে। এটা জোর করে সেক্স নয়। এটা হল, জোর করে সেক্স এ রাজী করানো। এর পরে স্বাভাবিক ভাবে সেক্স করা হয়। হ্যা, অল্প কিছু ধর্ষনের ধটনা ঘটে যেখানে
আসলেই জোর করে সেক্স করা হয়। এমনকি মেয়েটিকে মেরেও ফেলা হয়। সেগুলো করে ওই সব স্বল্প সংখক বিকৃত যৌন রুচীর লোক।
Comments
Post a Comment