নারীরা আসলে কতটা নারী

নারী পুরুষ একেবারে সম্পুর্ন আলাদা ধরনের মানুষ। কারো সাথে কারো তুলনা চলে না। তবুও বলা হয় যে নারীরা রহস্যময়। শুধু পুরুষের কাছেই নয়, নারীর কাছেও নারীরা একটা রহস্য। অনেক বিষয় আছে যা নারীকে পুরুষের থেকে আলাদা করে এবং বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই এই বিষয়গুলো কিছুটা অদ্ভুত। বিভিন্ন সমীক্ষা ও বৈজ্ঞানীক পরীক্ষা নিরিক্ষাতে বেশ মজার তথ্য পাওয়া গেছে। সেগুলোই আজ তুলে ধরব।

১। নারীর হৃদপিন্ড স্পন্দন দ্রুতঃ পুরুষের গড় হৃদ স্পন্দন মিনিটে ৭২ বার হলেও নারীর ক্ষেত্রে সেটা গড়ে মিনিটে ৭৮ বার। এর কারন হিসাবে বিজ্ঞানীর বলেছেন যে হৃদপিন্ডের স্পন্দন দ্রুততর হয় শরীরের আকার ছোট হলে। যেমন শিশুদের হৃদ স্পন্দন আরো দ্রুত।

২। চোখের পলক বেশী পড়েঃ নারীরা চোখের পলক ফেলে পুরুষের দিগুন। এর জন্য নারী দেহের এস্ট্রজেন হরমনকে দায়ী করা হয়।

৩। নারীর ঘ্রান ইন্দ্রিয় ভালোঃ এর মানে এই নয় যে তাদের ঘ্রান পুরুষের চেয়ে শক্তিশালী। নারীরা বিভিন্ন ঘ্রান আলাদা করে পুরুষের চেয়ে ভাল চিনতে পারে।

৪। নারীর শ্রবন শক্তি ভালোঃ পুরুষেরা মস্তিস্কের শুধুমাত্র বাম পাশের অংশকে শোয়ার কাজে ব্যাবহার করে। ওদিকে নারীরা ডান বাম গুই অংশকেই ব্যাবখার করে।

৫। মাদক সহ্য ক্ষমতা কমঃ নারীরা পুরুষের মতন একই পরিমানের মাদক গ্রহন করতে পারলেও মাদকের পাশ্বঃপ্রতিক্রিয়াতে নারীরা বেশী ভোগে। এছাড়া নারীরা অনেক সহজেই মাদকে অভ্যস্থ হয়ে যায়।

৬। নারীরা দীর্ঘায়ূ হয়ঃ বিশ্বের সব দেশেই নারীরা পুরুষের চেয়ে গড়ে বেশিদিন বাঁচে। এমনকি শিশু মৃত্যুর হারও নারীদের ক্ষেত্রে কম। এর অর্থ এই নয় যে তাদের স্বাস্থ্য পুরুষের চেয়ে ভালো। তাদের টিকে থাকার ক্ষমতা বেশী। তারা সেই সব শারীরিক অবস্থাতেও টিকে থাকে যাতে পুরুষেরা হয়ত মারা যায়।

৭। কথা বেশী বলেঃ একজন নারী গড়ে একদিনে ২০ হাজার শব্দ (word) বলে। পুরুষের ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটা ১৩ হাজার। এছাড়া নারীরা কথা বলার জন্য অনেক বেশী বিষয়ও খুজে পায়।

৮। কাঁদে বেশীঃ এটা আমরা সবাই জানি। এজন্য হরমনকে দায়ী করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে পুরুষেরা শান্ত ও নির্বিকার থাকে, ওদিকে নারীরা কেঁদে ভাসিয়ে ফেলে। একজন পুরুষ গড়ে বছরে ৬ থেকে ১৭ বার কাঁদতে পারে, ওদিকে নারীরা কাঁদে ৩০ থেকে ৬৪ বার।

৯। সাজসজ্জাতে পটুঃ একজন নারী গড়ে জীবনে ২-৩ কেজি লিপ্সটিক খেয়ে ফেলে। তারা একবার সাজতে বসলে এক ঘণ্টা ধরে বলে - এইতো ৫ মিনিটেই তৈরি হব।

১০। মেধায় পুরুষের চেয়ে মোটেও পিছিয়ে নয়ঃ নারীরা অংকে ও যুক্তিতে কাঁচা, এটা একটা ভুল ধারনা। বিশ্বের সর্বপ্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রামার ছিলেন একজন নারী। উনার নাম এডা লাভলেস (১৮১৫-১৮৫২)। এমনকি এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ আই কিউ এর রেকর্ডও একজন নারীর অধীনে।

১১। নারীর হাতে অবসর সময় কম থাকেঃ গবেষনায় দেখা গেছে যে একজন নারী এক বছরে গড়ে ১২০ ঘণ্টা আয়নায় নিজেকে দেখে। জীবনের মোট ৪ বছর পরিমান সময় অতিবাহিত করে প্রতি মাসের নিয়মিত শারীরিক ঝামেলাতে। জীবনের মোট দুই বছর পরিমান সময় অতিবাহিত করে কোন পোষাক পড়বে এই চিন্তা করে। ঘরের কাজ কর্ম, বাচ্চা প্রতিপালন, সংসারের অন্যান্য কাজ তো আছেই। এতকিছুর পরেও সময় পাওয়াটা বেশ দুঃস্কর।

১২। পোষাক পড়ার কায়দা ভিন্নঃ পোষাক বদলানোর সময় নারীরা সাধারনত উপরের অংশ (ব্লাউস বা জামা) আগে পরে। এর পরে নীচের অংশটি (পাজামা বা প্যান্ট) পরে। পুরুষেরা ঠিক উল্টোটা করে। প্রথমে প্যান্ট পরে এর পরে জামা পরে। বিজ্ঞানীরা এর কোন কারন ব্যাখ্যা করতে পারেন নি।

১৩। নিজের শরীর অপছন্দঃ নারীরা সবকিছু একেবারে নিখুত পছন্দ করে। নিজেদের শরীরের ক্ষেত্রেও তাই। এজন্য নারীরা তাদের শরীরের অন্তত একটি অংশ অপছন্দ করে। কেউ নিজের কোমরের গঠন অপছন্দ করে। কেউ বা তার আঙ্গুলের আকার অপছন্দ করে। পুরুষের বেলায় নিজের শরীরের এই পছন্দ অপছন্দ বলে তেমন কিছু নেই।

১৪। রঙ চেনার ক্ষমতাঃ নারীরা পুরুষের চেয়ে দিগুন বেশী রঙ চিনে। ক্রিম কালার ও অফ হোয়াইট এই দুটি রঙ নারীদের কাছে বিস্তর পার্থক্য লাগলেও, পুরুষের কাছে এই দুটি একই রঙ।

১৫। কান্নার অস্ত্রঃ প্রায় সব নারীই হটাত করে, মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে, কেঁদে ফেলতে পারে। এই কান্না দেখে পুরুষেরা নারীর কথা মেনে নেয়। এটাকে নারীর একোটি অস্ত্র বলা যায়।

১৬। সরল মনঃ নারী নাকি জটিল, তাদের ছলনা কেউ বোঝে না ইত্যাদি আসলে সাহিত্যের কথা। বাস্তবে, নারীরা পুরুষের চেয়ে সরল মনের হয়। তবে সমস্যা হল, তারা অতি দ্রুত অতীত ভুলে যায় এবং প্রতি মুহুর্তে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে। এ কারনেই নারীদেরকে দুর্বোধ্য মনে হয়।

সবশেষে বানীঃ নারীরা আসলে ভালোবাসার জিনিস, বোঝার জিনিস নয় - অস্কার ওয়াইল্ড

Comments

  1. পুরুষ আসলে কতটা পুরুষ এরকমও একটি আর্টিকেল লেখলে ভালো হতো।

    ReplyDelete

Post a Comment