শুধু
মুসলমানেরা নয়, বলতে গেলে কোন জাতিই ইহুদীকে দুচোখে দেখতে পারে না। ওদের জন্য পশ্চীমারা ইজরাইল নামক একটি দেশ বানিয়ে
দিয়েছে। এটা বিশ্বের একমাত্র দেশ যেটা ধর্মের উপরে ভিত্তি করে বানানো হয়েছে। বিশ্বের যে কোন দেশের ইহুদী এখানে নাগরিকত্ব নিতে
পারে। আমি অনেক আগে ভাবতাম যে ইহুদী কি এমন জিনিস যে একে
সবাই অপছন্দ করে। এর পরে আস্তে আস্তে তাদে স্বরুপ দেখা শুরু করলাম। বিশেষ কিছু চরিত্র রয়েছে যেটা একমাত্র ইহদীদের মধ্যেই
দেখা যায়। আর ওদের বুদ্ধি হল অস্বাভাবিক। নিত্য নতুন জিনিস সামনে এনে মাথায় হাত বুলিয়ে মানুষের
পকেট থেকে পয়সা বের করাতে তারা ওস্তাদ। আমেরিকা
দেশটি অভ্যান্তরে শান্তিপ্রিয় হলেও আন্তঃজাতিক ক্ষেত্রে তারা আক্রমনাত্মক। আমেরিকার আন্তঃজাতিক রাজনীতির সবটুকুই ইহুদী বুদ্ধি।
না, এর কোন প্রমান নেই। কিন্তু যারা ইহুদী
ও ইহুদী বুদ্ধি চিনে তারা এটি এক বাক্যে স্বীকার করবে যে এমন বুদ্ধি ইহুদী ছাড়া আর
কারো মাথায় আসবে না।
ছোট
একটি গল্প (অবশ্যই কাল্পনিক)
একবার
আমেরিকা আর জাপান, কুকুর লড়াই প্রতিযোগীতার
ঘোষনা দিল। ৫ বছর ধরে তারা কুকুরকে ট্রেনিং
দিবে, এর পরে লড়াই । ৫ বছর পরে, যথা সময়ে বিশাল
আয়োজনে এই লড়াই শুরু হল। মঞ্চে উঠতেই আমেরিকার
কুকুরটি, জাপানী কুকুরকে কাগজের মতন ছিড়ে ফেলল।
লড়াই শেষ। জাপানীরা তো ভীষন অবাক। তারা
গত ৫ বছর ধরে সারা বিশ্বের নাম করা বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করে এই কুকুরকে ট্রেনিং দিয়েছে।
এমন কুকুরকে আমাএরিকার কুকুরটি একেবারে ছিড়ে ফেলল কিভাব !! কৌতুহল চেপে না রাখতে পেরে তারা জিজ্ঞেস করে বসল
–
জাপানীঃ
আচ্ছা তোমাদের কুকুরকে কিভাবে ট্রেনিং দিয়েছ যে সেটা আমাদের ট্রেনিং দেওয়া কুকুরকে
এমন সহজে মেরে ফেলল?
আমেরিকানঃ
তোমাদের কুকুররে প্রজেক্টে কতজন কাজ করেছে?
জাপানীঃ
তা প্রায় ৫০০ জন।
আমেরিকানঃ
আমাদের কুকুরের প্রজেক্টে কাজ করেছে মাত্র
৫ জন
জাপানীঃ
বল কি !! সেটা কিভাবে ?
আমেরিকানঃ
আমাদের দেশের ৫ জন প্লাস্টিক সার্জন এই কয় বছর ধরে চেস্টা করেছে কিভাবে একটি নেকড়ে
বাঘকে কুকুরের মতন দেখতে বানানো যায়।
এটাই
হল ইহুদী বুদ্ধির নমুনা। প্রতিপক্ষ থেকে তারা
আগেই কয়েক চাল এগিয়ে থাকে। প্রতিপক্ষ যত ভালো কুকুর নিয়েই আসুক না কেন অসুবিধা নেই,
তাদের কাছে তো আছে নেকড়ে বাঘ। এমন ঘটনাই ঘটেছে
চাদে যাবার কাহীনিতে। আমার আগের লেখাতে এটা লিখেছি। মহাশুন্যে প্রথম প্রানী – লাইকা (কুকুর) রাশিয়ান। প্রথম মানুষ গ্যাগারিন, রাশিয়ান। প্রথম নারী তেরেস্কোভা, রাশিয়ান। এখন আমেরিকা কি করবে? ওরা তখন চাদে যাওয়ার ভুয়া ভিডিও দেখালো। এমন একটি জিনিস দেখালো যা রাশিয়ানেরা সারা জীবন
চেস্টা করেও পারবে না। যেমন পারেনি জাপানী
কুকুর আমেরিকান কুকুর রূপী নেকড়ের সাথে।
ইহুদীর
ব্যাবসায়ীক বুদ্ধির ফসল হল আজকের ব্যাংক । প্রাচীন যুগে ওরা বাজারে একটি বাক্স নিয়ে বসত। সবাই চুরি ডাকাতির ভয়ে, টাকা ওদের কাছে জমা রাখত।
টাকা ফেরত নেবার সময় ওদেরকে সামান্য কিছু টাকা
দিতে হত। ক্রমেই এই পদ্ধতি বেশ জ়নপ্রিয় হয়ে গেল। ওদের ভাষায় ওই বাক্সকে “ব্যাংক” বলা হয়। সেই বাক্স নিয়ে বসা ব্যাংক আজ অর্থনীতির কেন্দ্র
হয়ে গেছে। ব্যাংক হল সবচেয়ে বড় ব্যাবসা। একজনের টাকা জমা রেখে, আরেকজনকে ধার দিয়ে মাঝখান
থেকে নিজে লাভবান হওয়া। ব্যাংক পুরাতন হবার
পরে এখন আবার নতুন কায়দা বের করেছে। ক্রেডিট
কার্ড। এটা হল ব্যাংক এর উপরে ব্যাবসা। সারা দুনিয়ার ব্যাংক হাতের মুঠোয় রেখেছে মাত্র কয়েকটি
কোম্পানী – VISA, MasterCard । সবাই জানেন, ক্রেডিট কার্ড হল ব্যাঙ্ক থেকে আপনাকে দেওয়া একটি
লোন। এই কার্ড দিয়ে আপনি বাকীতে কেনা কাটা
করতে পারবেন। পরে ব্যাংকে বিল পরিষোধ করবেন।
আপনাকে এই লোন দেয় ব্যাংক। VISA, MasterCard এর শুধু এই কার্ডের বীমা (Insurance)
বহন করে ও এর পদ্ধতি সরবরাহ করে। এভাবেই ব্যাংক
এর টাকা আপনাকে লোন দিয়ে, VISA,
MasterCard কোম্পানী সারা দুনিয়ার মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে যাচ্ছে।
যত
রকমের অভিনব ব্যাবসা পদ্ধতি রয়েছে তার সবই ইহুদীদের আবিস্কার। ফ্রেঞ্চাইজ বিজনেস (Franchise) , যেমন McDonald, Pizza Hut এটা ইহুদীদের বুদ্ধি। কি এক আজব পদ্ধতি এটি। অন্য লোকেরা নিজের টাকায় দোকান খুলেছে। সেই দোকান ম্যাকডলাল্ড এর মতন দেখতে বানানোর জন্য
তারা ম্যাকডনাল্ডকে মোটা অংকের টাকাও দিয়েছে। Pizza Hut , KFC এই একই কায়দা। আরেক অভিনব বুদ্ধি হল মাল্টি লেভেল মার্কেটিং
(MLM)। ডেস্টিনির (Destiny) কল্যানে এটা কি
তা সবাই জানেন। এই পদ্ধতি শুরু করে Amway যার মালিক ইহুদী। Google, Facebook. Yahoo – ইহুদী
মালিক। Coca Cola, Pepsi – ইহুদি মালিক ।
ইহুদিদের
আবিস্কার করা সর্বশেষ ব্যবসায়ীক বুদ্ধি হল , যুদ্ধ। ইহুদীরা সেই জিনিস যারা যুদ্ধের ভেতরে থেকেও ব্যাবসা
বের করে আনে। এই ইহুদী বুদ্ধির ফসল হল – টুইন
টাওয়ার , পেন্টাগনে বোমা হমলা ইত্যাদি। টুইন
টাওয়ারে হামলার সময় পেন্টাগনের (আমেরিকার সামরিক বাহীনি) হেড অফিসেও বিমান হামলা হয়। টুইন টাওয়ারের হামলা বেশ ফলাও করে মিডিয়াতে আসলেও পেন্টাগনের হামলাটি মিডিয়াতে তেমনভাবে আসেনি। কারন ওটা এমন কাচা কাজ ছিল যে মিডিয়াতে সেভাবে আসলে
ধরা পড়ে যাবার ভয় ছিল। টুইন টাওয়ারে হামলাটি বেশ পোক্তভাবে সাজানো ছিল
তাই সেটি মিডিয়াতে ভালোভাবে এসেছে।
ইহুদীদের
চরিত্রের সবচেয়ে দর্শনীয় দিক হল তাদের একতা । এই একতা না থাকলে তারা অনেক আগেই দুনিয়া
থেকে নিঃশেষ হয়ে যেত। একজন একটা জিনিস করলে
বাকী সবাই সেই তালে তাল দেয়। ভুল বা শুদ্ধ যাই হোক না কেন। আরেকটি জিনিস আছে সেটা হল ধৈর্য। কিল খেয়ে চুপ করে সুযোগের আশায় বসে থাকে। সুযোগ
পেলেই দেয় এক কোপ।
এতক্ষন
কথা বললাম বিভিন্ন তথ্য উপাত্যর উপরে ভিত্তি
করে । এবার বলব আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা। আন্তঃজাতিক
বুদ্ধিজীবি বা ব্যাবসায়ী, এমন কোন ইহুদির সাথে আমার পরিচয় নেই। আমার পরিচয় আছে আমারই
মতন সাধারন মানুষের সাথে। ইহুদীদের ভেতরে একটা
জিনিস আমি বেশ খেয়াল করে দেখেছি। সেটা হল আশে
পাশের সবাইকে এক ধরনের চাপে রাখার একটা প্রবনতা। অধীনস্ত হলে তো কথাই নেই। এই চাপ আস্তে আস্তে বাড়াতে থাকে যতক্ষন না একজন ফোস
করে ওঠে (রুখে দাঁড়ায়)। ফোস করলে, তখন হেসে স্যরি বলে। এর পরে আপনাকে চাপ দেওয়া বন্ধ করে না বরং চাপটা ওখানেই
স্থির হয়ে যায়। বাস্তব অভিজ্ঞতা না থাকলে আমার
কথাগুলো দুর্বোধ্য মনে হবে। একটা উদাহরন দেওয়ার চেস্টা করছি।
ধরুন
আপনার অফিসে আপনার সহকর্মী ইহুদী। সে সবসময়
চাইবে কিভাবে তার কাজের অংশ আপনাকে দিয়ে করানো যায়। এর জন্য সব সময় সে কৌশলের আশ্রয়
নিবে। আপনি যদি তার একটু কাজ করে দেন তারপরে
তার সাহস আরো বেড়ে যাবে। আরো বড় কাজ আপনাকে দিবে।
আরো বড় কাজ। আপনি যদি রেগে গিয়ে তাকে না থামিয়ে দেন তাহলে - শেষ পর্যন্ত তার
সব কাজই আপনাকে দিয়ে করিয়ে নিজে চুপ করে বসে
থাকবে। ধরুন আপনাকে আজ বলছে – ভাই আমাকে ১০
পাতা টাইপ করে দিন। আপনি সেটা ভদ্রতার খাতিরে
করে দিলেন। ব্যাস আপনাকে পেয়ে বসল। এর পরের দিন দিবে ২০ পাতা। সেটা যদি করেন, এর পরে দিবে ৫০ পাতা। এভাবে বাড়তেই
থাকবে। যেদিন আপনাকে ২০ পাতা টাইপ করতে দিল
, সেদিন আপনি যদি রেগে গিয়ে বলেন – ফাইজলামী করেন? আমি কেন প্রতিদিন আপনার কাজ করব? ব্যাস, সে ভয় পেয়ে যাবে। থেমে যাবে। আপনার কাছে
ক্ষমা চাইবে। না, সে চীরতরে থামেনি। যে বুঝে
গেছে যে ২০ পাতা টাইপ করতে দিলে আপনি রাগ হন। কিন্তু ১০-১৫ পাতা আপনি করেন। সেই জন্য , এর পরে কোনদিন ১০ পাতা টাইপ করার কাজ পেলে সে আপনাকে দিয়ে করানোর
চেস্টা করবে। জানিনা উহুদীর চরিত্র কতখানি বোঝাতে পেরেছি। ওরা
বড় আজব জিনিস।
ইদানিং
ফিলিস্তিন এর গাজায় হামলার জন্য রমজান মাস ও বিশ্বকাপ ফুটবলকে সুযোগ হিসাবে বেছে নিয়েছে।
একদিকে হামলা করছে আর অন্যদিকে করছে মিডিয়া নিয়ে ব্যাবসা। এসব অত্যাচার করে, আর আস্তে আস্তে অত্যাচারের মাত্রা
বাড়ায়। বিশ্বাস করুন, ইহুদীরা ভীতু এক জাতী।
ফিলিস্তিনি এই অত্যাচার থামানোর জন্য আরব বিশ্বের
একটি ধমকই যথেস্ট ছিল। কিন্তু আরব বিশ্বের
কোন দেশ টু শব্দ করে না। ইহুদীরাও স্বাভাব
বসত অত্যাচার বাড়িয়েই চলছে। এভাবেই শেষে একদিন সেই অত্যাচার গিয়ে পড়বে সৈদি আরবের বাদশাহের
বারান্দায়। তখন আর ধমকে কাজ হবে না। আরব নেতাদের
কল্লা কাটা যাবে এই ইহুদীর হাতে। ফিলিস্তিনিদেরকে
অত্যাচার করার এই সুযোগ দিয়ে আরব বিশ্বের নেতারা আসলে নিজেদের বিপদ ডেকে আনছে। ওদেরকে এখনই থামিয়ে না দিলে আরব নেতাদের কল্লা তো যাবেই যেই সাথে ওরা ইসলামের
নাম নিশানা ওরা মিটিয়ে ফেলতে চাইবে ।
Comments
Post a Comment