এমন ভুল সংবাদ আর কতদিন ...

স্কুল, কলেজ, হোস্টেল, মেস ইত্যাদি জায়গায় সবারই বড় ভাই গোত্রীয় লোক থাকে। আমারও ছিল। এমনই একজন বড় ভাই, অর্ধেক টিউশন ফি দিত। আমি অবাক হয়ে কারন জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, তিনি দরিদ্র মেধাবী ছাত্র। এ নিয়ে তার সঙ্গে বেশ ঠাট্টা মশকরা করলাম। আসলে তিনি দরিদ্র নন, মেধাবীও নন। অর্থাৎ যে কারন দেখিয়ে তিনি অর্ধেক বেতন দিতে পারছেন সেই কারনের কোনটাই সত্য নয়। বলা বাহুল্য, যে কোন একটা কায়দা করেই তিনি এই বাড়তি সুবিধাটা নিয়েছিলেন। যেটাকে অপব্যাবহার বা দুর্নীতি বলা চলে।

দেশের সংবাদের শিরোনাম দখল করে নেয় ব্লগার হত্যার খবরগুলো। এ পর্যন্ত এমন পাঁচটি হত্যাকান্ড হয়েছে। সংবাদগুলোতে যে কথাগুলো শোনা যায় তা হলঃ অমুক নামের, মুক্তমনা ও বিজ্ঞানমনস্ক ব্লগারকে অমুক স্থানে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। এই হত্যার দোষ চাপানো হয় মৌলবাদীদের উপরে। দোষ চাপানো হয় ইসলামিক রাজনৈতিক দলের উপরে। ইদানিং আবার ইসলামিক জঙ্গি, আল-কায়দা এরা নাকি এসব হত্যার দায়ভার স্বীকার করেও নিচ্ছে। এই সংবাদগুলোও ঠিক তেমনই অসত্য। যারা খুন হয় তারা মুক্তমনা, বিজ্ঞানমনস্ক নয়, তারা ব্লগার নয়। ইসলামিক জঙ্গীরা তাদের হত্যা করে এমন কোন অকাট্য প্রমানও নেই। এটা ঐ আমার দরিদ্র মেধাবী বড় ভাইয়ের মতন অসত্য গল্প। কোথায়, কিভাবে অসত্য - সেটা বলতেই এই লেখার আয়োজন।

ওরা কেন ব্লগার নয়ঃ
ব্লগ ও ব্লগার কি, সেই বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে সময় নস্ট করব না। আপনি জানতে চাইলে, নীচে লিঙ্ক দেওয়া আছে। একজন লোক, ব্লগে হিজিবিজি যাই লিখুক না কেন, যুক্তিমতে সে ব্লগার। গিটার বাজাতে পারেন না এমন কেউ কি এই দুনিয়াতে আছ? সবাই পারে, গিটারের তারে টোকা দিলেই বাজে। তাই বলে কিন্তু সবাইকে গিটার বাদক বলা যায় না। বাদক তাকে বলা হয় যে সুর তুলতে পারে, বাদক তাকে বলা হয় যার বাজানো মানুষ মুগ্ধ হয়ে শোনে। ঠিক তেমনি, ইন্টারনেটে বিভিন্ন ওয়েব সাইটে যা খুশি তাই লিখলেই একজন ব্লগার হয়ে যায় না। তার লেখাটা অবশ্যই মানসম্পন্ন হতে হবে। লেখাটা মানুষের পছন্দ হতে হবে। সেই দিক থেকে বিচার করলে, ব্লগার বলতে আমরা আসলে এক ধরনের কলাম লেখককে বুঝি। কলাম লেখক পত্রিকাতে লেখেন, আর ব্লগার লেখেন ইন্টারনেটে।

২০১৩ সালে, শাহবাগের গনজাগরন মঞ্চ থেকেই ব্লগার নামটা সাধারন লোকের কাছে পরিচিত হয়। ওই মঞ্চের আয়োজক ছিল একটি ব্লগারদের সংগঠন। সেই সময় মিডিয়াতে "ব্লগার" জপ করতে করতে ব্লগার জিনিসটা এত বেশী জনপ্রিয় করে তোলা হয় যে, তখন যে কোন লোক নিজেকে ব্লগার পরিচয় দিতে গর্ববোধ করত। না চাইলেও অনেককে জোর করে ব্লগার হিসাবে পরিচিত করা হোত, ব্লগ লিখুক আর না লিখুক। শাহবাগে "ফাসি চাই, ফাসি চাই" বলে শ্লোগান দিতে দিতে এক পর্যায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে মারা যান তরিকুল ইসলাম শান্ত। তিনি ছিলেন দেশের সেরা কার্টুনিস্টদের মধ্যে একজন। এই লোকটির মৃত্যুতে সমস্ত মিডিয়াতে খবর পাওয়া গেল "ব্লগারের মৃত্যু"। কোথাও "কার্টুনিস্ট" কথাটা নেই। জোর করে, নামকরা কার্টুনিস্টকে ব্লগার বানিয়েছে। সংবাদ বানানোতে এমনই দক্ষ আমাদের মিডিয়া। গনজাগরন মঞ্চের এমন অনেক পরিচিত ব্লগার আছেন যারা আসলে ব্লগ লেখেন না। অথচ মিডিয়ার দক্ষতায় তারা দেশে তারকা ব্লগার হিসাবে পরিচিত। তাছাড়া সবারই নিজ নিজ পেশা আছে। ব্লগিং করে অবসর সময়ে। শখ বলা চলে। কিন্তু এমনভাবে তাদেরকে ব্লগার বলে ডাকা হয় যেন ব্লগিং করাটাই তাদের পেশা।

নিহত পাঁচজনকে, ব্লগার বলে পরিচয় করানো হয়। কিন্তু তাদের মধ্যে একমাত্র অভিজিত রায় ছাড়া কেউই ব্লগার ছিলেন না। অভিজিত রায় রীতিমতন একজন লেখক ছিলেন। অন্য চারজন কি লিখত, কোথায় লিখত এগুলো মানুষ জেনেছে তাদের মৃত্যুর পরে। এভাবে নিহত না হলে, ব্লগারের খাতায় তাদের নামই উঠত না। মিডিয়াতে এদের ছবিসহ খবর যেভাবে প্রচারিত হয় তাতে মনে হয় যে এরা একেবারে শ্রেস্ট ব্লগার। অথচ এরা শুধু ইসলামের বদনামই লিখত, তাও আবার মাঝে মাঝে অকথ্য ভাষায়। একমাত্র অভিজিত রায় ইসলামের বদনাম লিখলেও জাতে উঠেছিলেন। তার কারন হল তিনি কম-বেশী লিখতে জানতেন, লেখক ছিলেন। তাছাড়া মুক্তমনা নামের ইসলাম বিরোধি লেখালেখির ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি। মোট কথা ইসলাম বিরোধী হলেও, লেখার জগতে তার কিছুটা অবদান রেখে যেতে পেরেছেন। আর বাকী চারজন লিখতেন হিজিবিজি। এদের কেউ কেউ তো ফেসবুকে (ইসলামের বিরুদ্ধে) তাদের মনের কথা লিখতেন। এতেই নাকি তারা ব্লগার হয়ে গেছেন। ওদেরকে ব্লগার বললে তো উঠিতি বয়সী প্রত্যেক তরুন-তরুনীকে ব্লগার বলতে হবে। কারন তারাও তো ফেসবুকে তাদের মনেক কথা লিখে। "আজ মন ভালো নেই, ঘুম আসছে না, বাইরে বৃস্টি হচ্ছে" এভাবে অনেক লাইন লিখে ফেলে। এমন ফেসবুকীয় লেখককে মিডিয়াতে ওদেরকে যখন ব্লগার বলা হয়, সেটা একজন সত্যিকারের ব্লগারের জন্য খুবই লজ্জার।

ওরা কেন মুক্তমনা নয়ঃ
মুক্তমনা জিনিসটা আসলে কি সেটাই আজ পর্যন্ত কেউ স্থির করতে পারল না। অবস্থা দেখে বোঝা যায়, ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলা, বিশেষ করে ইসলামের বিরূদ্ধে কথা বলাটাই মুক্তমনার পরিচয়। এই নামটির কারনো আছে। ওদের ভাষায়, ধর্ম মানুষকে কুসংস্কারে আচ্ছন্ন করে রাখে। সেই বেড়াজাল থেকে বের হয়ে ধর্মহীন হয়ে যাওয়াটাই মুক্তমনা। হ্যা, তাদেরেই যুক্তিটা আমি মেনে নিলাম। তারা ধর্ম ত্যাগ করে সবাই মিলে একসাথে আনন্দ-ফুর্তী যা ইচ্ছা তাই করুক। তাদেরকে সবাই মুক্তমনা বলে স্যালুট দিবে, আমিও দিব। কিন্তু যখন তারা কোন ধর্মের বদনাম গাওয়া শুরু করবে , যখন কোন ধুমকে গালি দিবে, যখন অবমাননা করবে, তখন তারা আর মুক্তমনা থাকল না। তারা হয়ে গেল সংকীর্ন মনা (ছোট মন)। অন্যের ধর্মকে অবমাননা করাটা হল একটা অসভ্যতা, একটা নোংরামী। এটা মোটেই মুক্তমনার পরিচয় নয়। বিশ্বের অনেক বিখ্যাত ব্যাক্তি আছেন, অনেক তারকা আছেন, যারা নাস্তিক। তারা নিজেরা ধর্ম বিশ্বাস না করলেও, কোন ধর্মকে কটাক্ষ করে না। কারন এটা অসভ্যাতা ও নোংরামী। কোন তারকা এমন নোংরামী করলে, সে হয় সমালোচিত। তার খ্যাতি হুমকীর মুখে পড়ে। যে কোন ধর্মের অবমাননা যারা করে তারা মুক্তমনা নয়। তারা অসভ্য।

ওরা কেন বিজ্ঞান মনস্ক নয়ঃ
আমাদের মনে একটা ধারনা বদ্ধমুল হয়ে আছে। সেটা হল, বিজ্ঞান আর ধর্ম পরস্পর বিরোধী। একেবারে দা-কুমড়ো সম্পর্ক। আসলে বিষয়টা তা নয়। ধর্ম বইয়ের কোন পাতায় "বিজ্ঞানে মিথ্যা" এমন লেখা নেই। আবার বিজ্ঞান বইতেও "ধর্ম মিথ্যা" এমন লেখা নেই। "ঈশ্বর আছেন" - এই কথাটা বিজ্ঞান দিয়ে প্রমান করা যায় না। আব্র "ইশ্বর নেই" - এই কথাটাও বিজ্ঞান দিয়ে প্রমান করা যায় না। ধর্ম ও বিজ্ঞান পরস্পর বিরোধী নয়, বরং পরস্পর সম্পর্কহীন আলাদা দুটি জ্ঞান ও নীতি। ধর্মের বিরোধী হল নাস্তিকতা। আর বিজ্ঞানের বিরোধী হল অজ্ঞতা। ধর্ম ও বিজ্ঞান একে অপরে বিরোধীতা করে না। যে ব্যাক্তি অজ্ঞ নয়, সেই বিজ্ঞান চর্চা করে, সেই বিজ্ঞান মনস্ক। স্কুলের গোণ্ডি পার হতে হতেই মানুষ অনেক বিজ্ঞান শিখে ফেলে যেটা তার বাস্তব জীবনে প্রয়োজন। এওন বিজ্ঞান শেখে না যেই ব্যাক্তি যে অধিক্ষিত। আজকাল শিক্ষার সাথে বিজ্ঞান এমনভাবে মিশে গেছে যে, একজন শিক্ষিত হলে কিছুটা বিজ্ঞান না জেনে উপায় নেই। কাজেই সবাই কমবেশি বিজ্ঞান জানে, সবাই বিজ্ঞান মনস্ক। নিহত তথাকথিত ব্লগারেরাও অন্য সাধারন শিক্ষিত মানুষের মতন বিজ্ঞান মনস্ক ছিলেন। এটা কোন উল্লেখযোগ্য পরিচয় নয়। তাদের পরিচয় হল, তারা ধর্ম বিদ্বেষী, বিশেষ করে ইসলাম বিদ্বেষী ছিলেন।

প্রসঙ্গত বলে রাখি, অভিজিত রায় একটু ব্যাতিক্রম। তার লেখা বিজ্ঞানভিত্তিক কিছু বই আছে। এসব দেখিয়ে মানষ তাকে বিজ্ঞানের লেখক হিসাবে পরিচয় করায়। কিন্তু তার লেখাতে বিজ্ঞান নয়, বরং যুক্তিই বেশী। তার লেখাগুলোর প্রধান শিক্ষা হল, ধর্ম হচ্ছে কুসংস্কার ও গোড়ামী, সবাই বিজ্ঞানের ছায়াতলে এসো। এসব ব্যাপারে তিনি বিজ্ঞানভিত্তিক যুক্তি দিয়েছেন। তিনি যুক্তিবাদী লেখক। অত বড় মাপের না হলেও, তাকে কিছুটা জাকির নায়েকের সাথে তুলনা করতে পারেন। জাকির নায়েক একজন ডাক্তার, তিনি ইসলামের পক্ষে যুক্তি দেন। অভিজিত রায় একজন ইঞ্জিনিয়ার, ইসলামের বিপক্ষে যুক্তি দিতেন। তিনি বিজ্ঞানের কোন লেখক নন। তাছাড়া তার মৃত্যুর পরে পত্রিকাতে দেখা গেল তিনি "আকাশ মালিক" ছদ্যনামেও ব্লগিং করতেন। আমি না জেনেই, এই আকাশ মালিকের সাথে বিভিন্ন ব্লগে বেশ তর্ক বিতর্ক করেছি। তার বিজ্ঞানের গভীরতা আমি জেনেছি। ডঃ জাফর ইকবালের মতন প্রতিভাবান মানুষ যখন এই অভিজিত রায়, ওরফে আকাশ মালিককে "বিজ্ঞানের লেখক" বলে প্রশংশা করেন, তখন বিজ্ঞানের ছাত্র হিসাবে আমি লজ্জায় মুখ লুকানোর যায়গা খুজে পাই না। অভিজিত রায় মোটেই বিজ্ঞানের লিখক নন, তিনি যুক্তিবাদী লেখক। সেই যুক্তি কতখানি শুদ্ধ, সেটা ভিন্ন আলোচনা।

ইসলামী জঙ্গীঃ
অভিজিত রায় নিহত হবার পরে প্রত্যেক মিডিয়াতে খবর হয়েছিল যে একটি ইসলামী জঙ্গী সংগঠন টুইটারে এই হত্যার দায় স্বীকার করেছে। সেই টুইটারে ভুয়া পেজটি এতো কাচা হাতে বানানো ছিল যে সেটা আমার মতন লোকের চোখেই ধরা পড়েছে। বিজ্ঞ তদন্তকারীরা তো সেই টুইটার পেজটি দেখেই বুঝে যাবার কথা, যে পেজটি ভুয়া। কয়েকদিন পরে পেজটি এমনিতেই হাওয়া হয়ে গেছে। সেই পেজটির ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চাইলে, নিচে লিঙ্ক দেওয়া আছে। এবার আর টুইটার ফেসবুক নয় খুনীরা নাকি ইমেইল করেছে। মনে হচ্ছে, এবার ইমেইল আসার কারন হল, টুইটার বা ফেসবুক পেজ তো সবাই দেখতে পারে। ইমেইল তো সবাই দেখতে পারে না। কাজেই সেটা ভুয়া নাকি সঠিক , সেটা প্রমান করা কস্টকর। তার পরেও যদি এই ইমেইল ভুয়া প্রমানিত হয়, এর পরে আসবে ডাকে উড়ো চিঠি। যেভাবেই হোক দেশে ইসলামী জঙ্গী আছে সেটা প্রমান করেই ছাড়বে। দেশে আল-কায়দা আছে এটা প্রমান করতে পারলে কাদের আল-ফায়দা হয় সেটা সবাই জানে। এ কারনেই চলছে এই কায়দা-কানুন। আল-কায়দার অনেক বড় কাজ পড়ে আছে। কোথাকার কোন গলির মোড়ের অখ্যাত ফেসবুক লেখককে খুন করার সময় বা প্রয়োজন, কোনটাই তাদের নেই। তবে অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, দেশে জঙ্গী আছে এই কথাটা মানুষ বিশ্বাস করার আগ পর্যন্ত এমন হত্যাকাণ্ড চলতেই থাকবে।

সংবাদে ব্যাবহার করা প্রতিটি শব্দই ভুল। সঠিক সংবাদটি এমন হতে পারেঃ
অমুক নামের একজন ব্যাক্তি, তমুক এলাকার বাসিন্দাকে আজ অজ্ঞাত দুর্বিত্তরা হত্যা করেছে। তিনি পেশায় একজন অমুক ছিলেন। এর পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন ব্লগে ও ফেসবুকে ইসলাম বিরোধী লেখালেখি করতেন। অনেকে ধারনা করছে যে এই ইসলাম বিরোধী লেখার কারনে কোন উগ্রপন্থী মুসলিম সংগঠন বা ব্যাক্তির দ্বারা খুন হতে পারেন। অমুক ইসলামিক জঙ্গী সংগঠন এই খুনের দায় স্বীকার করেছে। যদিও বিষয়টা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

মুসলমানদের জন্যঃ
তথাকথিত ব্লগারদের মৃত্যুতে কেউ খুনের সমর্থন করেন, কেউ আনন্দ প্রকাশ করেন, কেউ তার পরোকাল নির্ধারিত করে দেন, কেউ তাদের নামে কটুক্তি করেন। কেউ আবার তারা কি লিখত সেগুলো লিখে লিখে তাদের অখ্যাত লেখাগুলোকে বিখ্যাত বানিয়ে দেন। অনেকে তো আরো এক ধাপ এগিয়ে। তারা ইসলামিক বিভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়ে দেখানোর চেস্টা করেন যে এমন ইসলাম অবমাননাকারীকে খুন করাটা ইসলামের বিধান।

এভাবে আমরা কিন্তু আমাদের ছোট মন ও হিংসাত্বক স্বভাবের বহিঃপ্রকাশ করি। আপনার ধর্ম সম্পর্কে যে বাজে কথা বলছে তাকে আপনারা অসভ্য ও নোংরা বলছেন। অন্যদিকে একজন লোক খুন হওয়াতে আপনি আনন্দ প্রকাশ করছেন, আপনাকে কি বলা উচিত? একজন লোক ধর্মকে গালি দিক আর আপনাকে গালি দিক, তার মৃত্যু কখনোই কাম্য নয়। তার বিচার হওয়া দরকার, শাস্তি হওয়া দরকার, হত্যা নয়। হ্যা, ইসলামিক আইনে এমন অপরাধের শাস্তি মৃত্যুদন্ড। মনে রাখবেন, মৃত্যুদন্ড, হত্যা নয়। ইসলামিক রাস্ট্রে, আইন ও বিচারে দোষী সাব্যস্ত হবার পরে রাষ্ট্র বা সরকার এই মৃত্যুদন্ড দেয়। অজ্ঞাতনামা দুর্বিত্তরা গিয়ে খুন করে আসেনা। তাছাড়া বাংলাদেশ কোন ইসলামিক রাষ্ট্র নয়। এতে ইসলাম অবমাননা করার শাস্তি বড়োজোর কয়েক বছরের জেল হতে পারে, মৃত্যুদন্ড নয়। কেউ ইসলাম অবমাননা করলে আমরা যেমন প্রতিবাদ করি। ঠিক তেমনি প্রতিবাদ করা উচিত এসব ইসলাম বিদ্বেষিদের খুনের বিচারের দাবীতে। 


লিঙ্ক ১ - ব্লগ ও ব্লগার কি
লিঙ্ক ২ - অভিজিত রায় হত্যার ভুয়া দায় স্বীকার

Comments

Post a Comment