মহানবীর (সা) এর ব্যাঙ্গচিত্র ও আমাদের করনীয়

শুধু মহানবী (সা) নয়। সকল নবী-রাসুল কাফেরদের অত্যাচার এর শিকার হয়েছেন।  সর্বযুগে, যারা ভালো কাজ করে, তারা দুষ্কৃতিকারীদের রোষানলে পড়ে। এমন মন্দ লোকদের  হাতে, বিভিন্ন সময়ে, কয়েকজন নবীকে নিহত হয়েছেন। প্রায় সকল নবী শারিরিক নির্যাতন সহ্য করেছেন। কটুক্তি আর ব্যাঙ্গ তো একেবারে সাধারন বিষয়। দুনিয়াতে এমন কোন নবী আসেনি যিনি কাফেরদের ব্যাঙ্গ সহ্য করেন নি। নবীদেরকে খারাপ বলা হয়েছে, পাগল বলা হয়েছে, আরো কত কি। প্রায়  প্রতিদিন কোন একজন কাফের, রাসুল (সা) কে পাগল বলতো।  প্রায় প্রতিদিন, কাফেরেরা তাকে কটু কথা শোনাতো।  পাগল বলেই তারা থেমে থাকেনি। পাগলের মতন প্রহারও করেছে। পাথর মেরে তাকে রক্তাক্ত করে দিয়েছে। অনেকবার তাকে হত্যার চেস্টা করা হয়েছে।  নবী হওয়া এত সহজ নয়। অনেক ধরনের কস্ট সহ্য করতে হয়। 

কোন নবী কি তার অনুসারীকে বলেছেন - আমাকে যারা কস্ট দিবে, তাদেরকে ধরে ধরে পেটাবে। এমন কথা কি কোন নবী বলেছেন ? কোন নবী এমন বলেন নি। বরং, অনুসারীরা প্রতিশোধ নিতে চাইলে, নবীরা তাদের থামিয়ে দিয়েছেন। নবীরা জানতেন, সত্য প্রতিষ্ঠা করতে গেলে এমন কস্ট সহ্য করতে হয়। পাথরের আঘাতে রক্তাক্ত হবার পরে, রাসুল (সা)  আল্লাহর কাছে দোয়া করেছেন - এরা অবুঝ, এদেরকে তুমি ক্ষমা কর।

আজকে ফ্রান্সে যে ব্যাঙ্গচিত্র  দেখছেন, এমন ব্যাঙ্গ প্রায় প্রতিদিন করা হতো। হ্যা, কাফেরের দল, প্রতিদিন রাসুল (সা) কে নিয়ে ব্যাঙ্গ করতো। ফ্রান্সের যে ব্যাঙ্গ দেখে আপনি অস্থির হয়ে গেছেন, এমন ব্যাঙ্গ রাসুল (সা) নিজে অনেকবার দেখেছেন। তিনি কোনদিন ব্যক্তিগত ব্যাঙ্গের জন্য দ্বন্দ করতে বলেন নি। হ্যা, রাসুল (সা) বিভিন্ন সময়ে অস্ত্র হাতে তুলে নেবার নির্দেশ দিয়েছিলেন, তবে সেটা ইসলাম রক্ষার জন্য। কোন ব্যাক্তিগত স্বার্থের জন্য নয়। 

বরাবরের মতন, এটা ওদের একটি ফাঁদ। ওরা মুসলমানকে উত্যাক্ত করে। এভাবে মুসলমানেরা হাতে অস্ত্র তুলে নিবে, আর তখন ওরা বলবে - মুসলমানেরা সন্ত্রাসী। সাবধান, ওদের ফাদে পা দিবেন না। নীরবে ফরাসি পন্য বর্জন করে ওদেরকে অর্থনৈতিক চাপে ফেলুন। মুসলমানদের উচিত আরো বেশী বেশী প্রচার করা। ওদের বিপক্ষে যেতে হবে না, ইসলামের আদর্শ বেশি প্রচার করতে হবে। এখন প্রচারের যুগ। আমরা হারাম হারাম বলে মিডিয়া থেকে দূরে সরে আছি, আর এই সুযোগে কাফের গোস্টি সবকিছু দখল করে নিচ্ছে। আসুন আমরা ইসলামিক উপায়ে, ইসলামের প্রচারের জন্য মিডিয়াকে ব্যাবহার করি। 

আপনি যে স্কুলে পড়েন, সেই স্কুলের নিয়ম মেনে পড়াশুনা করে পরীক্ষায় পাশ করা বেশী জরুরী,  নাকি বাইরের কেউ আপনার শিক্ষকের বদনাম করলে, তার সাথে ঝগড়া করাটা বেশী জরূরী ?  আপনি যেই অফিসে চাকরী করেন, সেখানে নিয়ম মেনে চাকরী করে বেতন নেওয়া বেশী জরূরী নাকি বাইরের কেউ আপনার বসের বদনাম করলে, তার সাথে ঝগড়া করাটা বেশী জরূরী? ঠিক একইভাবে, রাসুলের ব্যাঙ্গর প্রতিবাদ করার চেয়ে  অনেক বেশী জরূরী - ইসলামের পথে থেকে, রাসুলের দেখানো পথে চলে, আল্লহর সন্তস্টি অর্জন করা।  রাসুলের ব্যাঙ্গের প্রতিবাদের চেয়ে অনেক বেশী জরুরী - রাসুল (সা) এর নিয়ম (সুন্নত) মেনে চলা।  



Comments