অমুসলিমের সাথে বন্ধুত্ব


এই ব্যাপারে জটিল কোন সমাধান খোজার দরকার নেই। কোরআনের আয়াতে, বিষয়টি একেবারে স্পস্ট বলা আছে।

হে মু’মিনগণ! যারা তোমাদের পূর্বে কিতাব প্রাপ্ত হয়েছে, তাদের মধ্যে যারা তোমাদের ধর্মকে হাসি-তামাশার বস্তু মনে করে তাদেরকে এবং অন্যান্য কাফিরদেরকে বন্ধু রূপে গ্রহণ কোর না, এবং আল্লাহকে ভয় কর, যদি তোমরা ঈমানদার হয়ে থাক (সুরা মায়িদা - ৫৭)।

এখানে বিষয়টা স্পস্ট বলা আছে। কিন্তু কোন ধরনের অমুসলিম আর কোন ধরনের বন্ধুত্ব, সেটা পুরোপুরি বুঝতে হলে, আগের দুটি আয়াতও দেখতে হবে।

  • তোমাদের বন্ধু কেবল আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও মুমিনগণ, যারা সালাত কায়েম করে এবং যাকাত প্রদান করে বিনীত হয়ে (সুরা মায়েদা - ৫৫)
  • আর যে আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও মুমিনদের সাথে বন্ধুত্ব করে, তবে নিশ্চয় আল্লাহর দলই বিজয়ী (সুরা মায়েদা - ৫৬)।

এই দুইটি আয়াতে যে দুইটা কথা পাওয়া গেল। "আল্লাহর বন্ধু" এবং "আল্লাহর দল"। এই দুইটি কথার অর্থ বুঝলে, পুরো ব্যাপারটা পরিস্কার হবে।

আল্লাহ সর্বশক্তিমান, কেউই আল্লাহর সমকক্ষ নয়। আল্লাহর কোন বন্ধু হয় না। তাহলে, ওখানে "বন্ধু" কথাটা লেখা কেন? এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া আছে পরের আয়াতে। সেটা হলো - আল্লাহর দল। আল্লাহর দলটির নাম হলো ইসলাম। "আল্লাহর বন্ধু" কথাটির মাধ্যমে, আপনাকে আল্লাহর দলের সদস্য বলা হয়েছে।

যারা আল্লাহর দলের সদস্য নয়, তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করা হয়েছে। যারা আল্লাহর দলের বিরোধিতা করে, তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করা হয়েছে।

এক কথায়ঃ

ইসলাম বিরোধীদের সাথে বন্ধুত্বে নিষেধ করা হয়েছে

আরেকটু নির্দিষ্ট করে বললে - শুধুমাত্র অমুসলিম হলেই, একজন মানুষ বন্ধুত্বের অযোগ্য নয়। অমুসলিম লোকটি যদি ইসলাম বিরোধী হয়, তখন সে বন্ধুত্বের অযোগ্য হয়।

ইসলাম বিরোধী না হলেও, অমুসলিম বন্ধু থাকলে কি হয়, সেটা উপরের ছবিটিতে দেখুন। হিজাব পরে, মুসলমান মেয়েরা হিন্দুদের হলি উতসব করছে। এমন করতে করতে, একদিন পুজাও শুরু করে দিতে পারে। এজন্যই অমুসলিম বন্ধু বিপদজনক।

আমার নিজেরও এমন হয়েছে। প্রায় ২০ বছর আগে, হিন্দু বন্ধুদের সাথে অনেকবার পুজার প্রসাদ খেয়েছি। ওই প্রসাদ খেতে খেতে কবে কি যে করে বসতাম, কে জানে। পুজার প্রসাদ খাওয়া যে হারাম, সেটা তখন জানতাম না। পরবর্তীতে, জানার পরে, আর কখনো পুজার প্রসাদ খাইনি। এখানে লক্ষ্যনীয়, ঐ অমুসলিম খাওয়া বাদ দিলেও, অমুসলিম বন্ধু এখনো আছে।

শেষ কথা - কোরআনে, বিশেষ করে ইসলাম বিরোধীদের সাথে বন্ধুত্বে নিষেধ করা আছে। ইসলাম বিরোধী নয়, তেমন অমুসলিম বন্ধুরাও ঈমানের জন্য বিপদজনক হতে পারে। এজন্য এমন বন্ধুত্ব এড়িয়ে চলাই ভালো।

Comments