ইসলাম কি ধনী হ‌ওয়াকে নিরুৎসাহিত করে?

 


আমাদের দেশে, খাল ভরাট করে আবাসিক এলাকা বানায়। সেই আধুনিক আবাসিক এলাকাতে শুধু ইট-পাথরের বিল্ডিং দেখা যায়। ওদিকে, উন্নত দেশের আবাসিক এলাকাতে এত বেশী গাছ-পালা থাকে যে ওটাকে গ্রামের মতন দেখায়। শুধু তাই নয় - সন্ধ্যার পরে, রাস্তায় কোন মানুষও দেখা যায় না। দুই-একবার এমনও হয়েছে, অচেনা কোন বাসায় বেল টিপে, লোকজন বের করে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছি - অমুক রাস্তার তমুক বাসাটা কোথায়?

সুইজারল্যান্ডের সবচেয়ে উচু বিল্ডিং রোচ টাওয়ার এর উচ্চতা ২০৫ মিটার। ভারতের মুম্বাই শহরে এর চেয়ে উচু ৬০টি বিল্ডিং আছে !! বোঝা গেলো - বড় বিল্ডিং থাকলেই উন্নত হয় না।

রাসুল (স) দেখেছেন, জান্নাতবাসীদের অধিকাংশই (দুনিয়ার) দরিদ্র ও অত্যাচারিত

আমাদের দেশে সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাবার জন্য অবশ্যই ধনী হতে হয়। উন্নত দেশে ধনী না হয়েও সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করা যায়। ওই দেশগুলোতে ১%-২% মানুষ আছে, যারা গৃহহীন। আর, ১%-২% মানুষ আছে অস্বাভাবিক ধনী। বাকি ৯৫% মানুষ সবাই মধ্যবিত্ত। এই মধ্যবিত্ত লোকজনই সকল ধরনের সূযোগ-সুবিধা ভোগ করে। শুধু তাই নয়, অর্থনৈতিক ব্যাবস্থা এমনভাবে বানানো যে, জনগনকে জোর করে মধ্যবিত্ত বানিয়ে রেখেছে। ধনী হওয়া কঠিন, গরীব হওয়া কঠিন। সবাই মধ্যবিত্ত রয়ে গেছে।

রাসুল (স) বলেছেন, পরকালে (জান্নাতের উপযোগী) ধনীদের সম্পদের হিসাব-নিকাশে সময় লাগবে। সেই সুযোগে (জান্নাতের উপযোগী) দরিদ্ররা ৫০০ বছর আগে জান্নাতে প্রবেশ করবে।

মূল বিষয়টা হলো - বড় বিল্ডিং, ইট পাথরের শহর, অনেক বেশী ধনী লোকজন, ইত্যাদি কোন দেশকে সমৃদ্ধশালী করে না। সমৃদ্ধশালী দেশ হবার জন্য যে জিনিসটা লাগে, সেটা হলো - মধ্যবিত্ত। যে দেশের প্রায় সবাই মধ্যবিত্ত, সেই দেশ সমৃদ্ধশালী। এই বিষয়টা কাফেররা বুঝেছে, কিন্তু মুসলিমরা বোঝেনি।

ইসলামের বিশেষ ধরনের অর্থনীতি আছে। ইসলামের অর্থনীতি কিছুটা তেমন। জোর করে মানুষকে মধ্যবিত্ত বানিয়ে রাখে। ধনীও হতে দিবে না, দরিদ্রও হতে দিবে না। ইসলাম না মানলেও, পশ্চিমা দেশগুলো ইসলামের মতন অর্থনীতি বানিয়ে রেখেছে। আর এভাবেই তারা হয়েছে সমৃদ্ধশালী।

Comments