দুই বছর ধরে ধর্ষন - মেয়েটা কি করতে পারত


ইদানিং পত্র পত্রিকায় খুন গুম ইত্যাদির সাথে আরো বাড়তি একটি জিনিস যোগ হয়েছে। সেটা হল ধর্ষন। স্বাভাবিক ভাবেই এই অপরাধের জন্য একমাত্র নারীরাই ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ধর্ষন জিনিসটা প্রাচীন কাল থেকেই চলে আসছে। তবে ইদানিং বিষয়টি যে নতুন মাত্রা নিয়েছে সেটা হল ব্লাকমেইল। একবার ধর্ষন করে একটা ভিডিও চিত্র তুলে ফেলতে পারলেই হল। ওই মেয়েটি সেই ধর্ষকের কাছে বন্দী কয়ে গেল। এবার তাকে ওই ভিডিও ফাস করার ভয় দেখিয়ে সারা বছর ধর্ষন করা হয়। ধর্ষনের আরো একটি মাত্রা আছে। বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কয়েক বছর ধরে ধর্ষন। ধর্ষন একবার ঘটলেও হয়ত মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু এটা যদি বছরের পর বছর ঘটতে থাকে তাহলে সেটা মেনে নেওয়া যায় না। আমার লেখাটি পড়ে মনে করবেন না যে আমি ওই সব লম্পটের পক্ষ নিয়েছি। বরং আমি এটা দেখিয়েছি যে সব দোষ একলা ওই লম্পট পুরুষের নয়।

আমাদের দেশে আমরা ধর্ষন বলে যে সব খবর পাই সেগুলোর বেশীর ভাগই আসলে ধর্ষন নয়। এগুলো হল কায়দা করে , ফাদে ফেলে, জোর করে , ব্লাকমেইল করে - মেয়েটিকে যৌন মিলনে রাজী করা। এর পরে স্বাভাবিক ভাবে আপোষে যৌন মিলন করা। কথা বার্তা ছাড়া, একেবারে জোর করে ধর্ষন, গন ধর্ষন ইত্যাদি ঘটনা খুব কম ঘটে। তাছাড়া এমন ধর্ষন করার জন্য চাই তেমন বিকৃত রুচী। সবাই ধর্ষন করতে পারে না। ধর্ষকের চরিত্র কেমন হয় সেটা এখানে বলতে পারছি না লেখাটা অশ্লীল হবার ভয়ে। কারো কৌতুহল থাকলে, এখানে দেখতে পারেন।- ধর্ষকের চরিত্র (সামান্য অশ্লীল ও কু-রুচীপুর্ন)

বৈবাহিক সম্পর্কের বাইরে একটি মেয়ে মোট চার ভাবে যৌন সম্পর্কে জড়াতে পারে

-ধর্ষন - দেহ ব্যাবসা - সুবিধাভোগী - প্রেমিক (স্থায়ী/অস্থায়ী)

যারা ধর্ষনের শিকার হয়, তাদের সমবেদনা জানানোরও কোন ভাষা নেই। ধর্ষন তো অল্প সময়ের ব্যাপার। কিন্তু এর পরে মেয়েটিকে কি পরিমান মানষিক নির্যাতন সহ্য করতে হয় সেটা একমাত্র ভুক্তোভোগীই জানে। আবার, শখ করে কেউ দেহ ব্যাবসায় আসে না। কিন্তু একবার এসে গেলে সেই ভিন্ন জগতে বসবাসকারী মেয়েরাও কেমন যেন ভিন্ন হয়ে যায়। মানুষও তাদেরকে ভিন্ন চোখে দেখে। এই পেশায় বেশীরভাগ নারীকে জোর করেই আনা হয়। অনেকে আবার এই প্রক্রিয়াতে ধর্ষনেরও শিকার হয়। আল্লাহ সব নারীকে এইসব বিপদ থেকে রক্ষা করুন।

এ তো গেল ধর্ষিতা ও পতিতা নামক দুই দুর্ভাগা শ্রেনীর নারী। এছাড়া অন্য যে সব নারীরা দৈহিক সম্পর্কের শিকার হয় তাদেরকে সুবিধাভোগী ও প্রেমিকা নামক দুই শ্রেনীতে ভাগ করা যায়। এসব নারীরা কিন্তু দোষ এড়াতে পারে না। সুবিধাভোগী শ্রেনীর নারীরা একজন ক্ষমতাবান পুরুষকে উপরে ওঠার সিড়ি হিসাবে ব্যাবহার করে। যেমন অফিসের বসের সঙ্গে সম্পর্ক। সিনেমার প্রযোজক বা পরিচালকের সাথে চিত্র নায়িকার সম্পর্ক ইত্যাদি। হ্যা, বেশীরভার ক্ষেত্রেই প্রস্তাবটা আসে লম্পট পুরুষটির কাছ থেকে। কিন্তু নারীটিও নিজের দেহের বিনিময়ে পুরুষের কাছ থেকে সুবিধা নিতে চায়। সুবিধা পেলে তো আর কোন সমস্যা থাকে না। কিন্তু সুবিধা ঠিকমতন না পেলেই সমস্যা শুরু হয়ে যায়। নারীটি তখন অভিযোগ নিয়ে হাজির “ অমুক আমাকে তমুক লোভ দেখিয়ে ধর্ষন করেছে”। এখানে কিন্তু নারীটিও সমানভাবে দোষী। সে নিজেই এই লোভে পড়ে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছে। সবকিছু জেনেই, আপষে করেছে। এখন সুবিধা পায়নি এজন্য ক্ষেপেছে। তা না হলে খুশিই থাকত। এই ঘটনাটা মোটেই ধর্ষন নয়।

এবার আসছে প্রেমিকা শ্রেনী। এরা বড় জটিল। এদের প্রেমিক স্থায়ী বা অস্থায়ী হতে পারে। স্থায়ী হল যারা বিয়ে করবে বলে ঠিক করেছে। একটি ছেলে মেয়েটিকে বিয়ে করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিল। ভালো কথা। তারা এদিক সেদিক দেখা করতে করতে আস্তে আস্তে সম্পর্ক ঘনিস্ট হয়। এর পরে কয়েক বছর ধরে দৈহিক সম্পর্ক চলতে থাকে। হটাত একদিন ছেলেটি জানায় যে সে বিয়ে করবে না। ব্যাস, তখন মেয়েটির অভিযোগ - “অমুক আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২ বছর ধর্ষন করেছে।“ একটুও বানিয়ে বলছি না। পত্র পত্রিকায় এমন অনেক সংবাদ আমি নিজে দেখেছি। বিয়েটা হলে কোন অসুবিধা ছিল না। এমনকি মেয়েটা যদি এই প্রেমিককে বাদ দিয়ে অন্য ছেলেকে বিয়ে করত, তাহলেও কোন অসুবিধা ছিল না। কিন্তু, যেই ছেলেটা না বলেছে - ব্যাস, তখন সে ধর্ষক হয়ে গেছে। কেউ ধর্ষন করলে হয়ত একদিন করতে পারে। দুই বছর ধরে একজন ধর্ষন করে কিভাব? সেই মেয়েটি ওই ধর্ষকের কাছে দুই বছর ধরে কেন গিয়েছিল? এই ঘটনাও ধর্ষন নয়।

অস্থায়ী প্রেমের সম্পর্ক হল যে প্রেমের মুলে আছে যৌনতা। দুজনেই জানে যে তারা একে অপরকে বিয়ে করবে না। এর পরেও সম্পর্ক চালিয়ে যায়। উদেশ্য একটাই - উপভোগ করা। এই সম্পর্কটা সবচেয়ে অনৈতিক। এতে নেই কোন ব্যাবধান। পরকীয়া প্রেমও, এই শ্রেনীতে পড়ে। ইদানিং দেখা যাচ্ছে যে, এই ধরনের সম্পর্কে ছেলেটি গোপনে ভিডিও করে। এরপরে সেই ভিডিও ফাস করে দেবে , এই ভয় দেখিয়ে ২ বছর ধর্ষন করে। এরকম ফাস হওয়া ভিডিও যারা দেখেছে তারা যানে যে কোনটাতেই ধর্ষন নেই। রয়েছে আপোষে যৌন মিলন। হ্যা, মেয়েটি প্রথমে রাজী হবেই না। ছেলেটি অনেক ছলে, বলে, কৌশলে মেয়েটিকে রাজী করিয়াছে। এর পরে সবই হয়েছে আপোষে। ধর্ষন করেনি। বাকী দুই বছর তো ধর্ষনের প্রশ্নই ওঠে না। মেয়েটি ফাদে পড়ে নিজেই এসেছে। । হ্যা, লম্পট ছেলেটির দোষ থাকলেও - মেয়েটি নিজেই এই ফাদে পা দিয়ে তার মাশুল দিয়েছে। শিক্ষকের সাথে ছাত্রীর সম্পর্ক ও তার ভিডিও - একই ধরনের ঘটনা। না, অবাক হবার কিছু নেই। ওই শিক্ষক আর ছাত্রী হল - অস্থায়ী প্রেমিক-প্রেমিকা। এটা একদিনে হয় নি। একদিন আড় চোখে তাকিয়াছে, একদিন হাত ধরেছে - এভাবে সময় নিয়ে অগ্রসর হয়েছে। হটাত একদিন ছাত্রীকে একলা পেয়ে, শিক্ষক তাকে বন্ধ ঘরে নিয়ে গেল - এমনটা হয়না।

একটা বোকা নারীরও এই ক্ষমতা রয়েছে যে সে কোন পুরুষের চোখে একবার তাকালেই বলে দিতে পারবে যে সেই লোকটি কি চায়। লম্পটকে চিনতে একটি নারীর এক মিনিটও সময় লাগে না। অপরদিকে একজন লম্পটও ভালো করে জানে, কোথায় সুযোগ মিলবে আর কোথায় মিলবে না। তাই একজন লম্পট কখনো সতী নারীর আশেপাশে থেকে সময় নস্ট করে না। সতী নারী কখনো লম্পটের ফাদে পা দেয় না।

ছোট একটি গল্প বলে শেষ করব। একটি বালক পুলিশ স্টেশনে ফোন করে বলছে “ পুলিশ, তাড়াতাড়ি এস, একটা অচেনা লোক আমার বাবার সাথে এক ঘন্টা ধরে মারামারি করছে”। পুলিশ বলছে, “এতক্ষন পরে ফোন করলে কেন?”। বালকটি বলল - এতক্ষন বাবা জিতেছিলেন, তাই ফোন করিনি।

হতভাগ্য কিছু মেয়ে আছে যারা বিভিন্ন ধর্ষন ও নির্যাতনের শিকার হয়। এছাড়া, আমরা যে সব ঘটনা দেখতে পাই তার সবই আপোষ। ছেলেটিকে লম্পট বলা হলেও মেয়েটি কিন্তু ধোয়া তুলশি পাতা নয়। নারীদের জন্য এসব লম্পট থেকে বাচার সবচেয় সহজ উপায় হল - নিজে সতী হওয়া।

Comments