মানুষ কখনো চাদে যায়নি – ছবি সহ প্রমান


পাঠ্যবই আর মিডিয়ার কেরামতিতে সারা বিশ্ব, বিশ্বাস করে বসে আছে যে মানুষ চাদে গিয়েছে। এমনকি সারা বিশ্বের মানুষ ওই তিন জোকার এর নাম মুখস্ত করে রেখেছে। সামান্য এক জুতার ছাপ, হয়ে গেছে বিশ্ববিখ্যাত। আবার ভাববেন না যে, আমি নতুন কোন থিওরী নিয়ে হাজির হয়েছি। এসব আমার আবিস্কার নয়। যে আমেরিকা চাদে যাবার ভুয়া খবর প্রচার করেছে। সেই আমেরিকার বিজ্ঞানীরাই এসব আবিস্কার করেছে। চাদে যাওয়ার মিথ্যা ঘটনাটা খুব ঘটা করে প্রচার হয়েছে। এর প্রায় ৩০ বছর পরে আবিস্কার হয়েছে যে চাদে যাওয়ার ঘটনা আসলে ভুয়া। কিন্তু সেটা আর তেমন ভাবে প্রচার হয়নি। তাছাড়া এই ৩০ বছরে সারা বিশ্ব এটাকে অন্ধের মতন বিশ্বাস করে বসে আছে। চাদে যাওয়াটা যে ভুয়া এর অনেক বৈজ্ঞানিক প্রমান রয়েছে। সেগুলো মধ্যে না গিয়ে সহজ কয়েকটি প্রমান তুলে ধরব




চাদে কোন বাতাস নেই। এর পরেও পতাকা বাতাসে নড়েছে। সারা বিশ্বের মানুষ এটা টেলিভিশনে দেখেছে। সেই ভিডিও এখনো রেকর্ড করে আছে। 



মুল রকেট থেকে চাদে নামার জন্য ব্যাবহার করা হয় এই ছোট বাহন। এর নীচে গ্যাস বেশ হয়ে ধাক্কা দিয়ে যানটিকে উপরে উঠায়। কিন্তু যানটির নীচে এমন কিছুই দেখা যায়নি।


চাদে তো তারা লাইট ও ক্যামেরা নিয়ে সুটিং করেনি। চাদে আলো তো একদিক (সুর্য) থেকে আসার কথা। কিন্তু এখানে ছায়া দেখে বোঝা যাচ্ছে যে কয়েকদিক থেকে আলো দেওয়া হয়েছে।



ভ্যান এলিন রেডিয়েশন বেল্ট – যেটা পৃথিবীর চুম্বক ক্ষেত্র থকে তৈরি ও পৃথিবীকে ঘিরে রেখেছে। চাদে যেতে হলে এটা অতিক্রম করতে হবে। এর তেজস্ক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাওয়া আর মাইক্রো ওয়েব ওভেনের মজদ্য দিয়ে যাওয়া একই কথা। মানুষ সিদ্ধ হয়ে যাবে। মহাশুন্যের আধুনিক পোষাকও এই তেজস্ক্রিয়া বাধা দিতে পারে না। ৪৫ বছর আগে, (১৯৬৯ সালে) আরো পারত না। 


একজনের হেলমেটে একটি প্রতিচ্ছবি দেখা গেছে। এমন প্রতিচ্ছবি দেখা যায় সিনেমাতে। অনেক বিষেষজ্ঞের ধারনা যে এট সুটিং এ ব্যাবহার করা স্পট লাইটের প্রতিচ্ছবি। 



চাদে বাতাস নেই, তাছাড়া মধ্যাকষন ও কম। সেজন্য তারা ভিডিওতে খুব ধীরে চলেছে। এমন একটি ভিডিওকে আড়াই গুন দ্রুত চালালে দেখা যায় যে তারা সঠিক গতিতেই হাটছে। তার মানে – সুটিং করার সময় তার সঠিক গতীতেই হাটছিল । সেই ভিডিওতে পরে গতি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া লাফিয়ে লাফিয়ে চলার জন্য তার বা দড়ি ব্যাবহার করে হয়েছে বলে অনেকে মনে করে। 


চাদে বাতাস নেই, পানি নেই। অর্থাৎ, মেঘ নেই। আকাশ একদম পরিস্কার। সেখানে লক্ষ লক্ষ তারা দেখা যাওয়ার কথা। কিন্তু চাদ থেকে তোলা ছবিতে তেমন কোন তারা দেখা যায়নি। 


চা্দের পাথরে “C” লেখা থাকে কিভাবে ?


চাদে যে কবার গেছে – যে কয়টা ভিডিও আছে , প্রায় সব কটাতে একই ব্যাকগ্রাউন্ড। অর্থাৎ একই যায়গা। বার বার তারা কি একই যায়গায় ল্যান্ড করেছিল?

উপরে চিত্রসহ প্রমানগুলির পরে এবার আছে সহজ যুক্তির কথা । কোন কোন দেশ চাদে মানুষ পাঠিয়েছে? উত্তর আমেরিকা, একমাত্র আমেরিকা। আর কেউ কোনদিন পারেনি। আমেরিকা চাদে মানুষ পাঠিয়েছে মোট ছয় বার। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত। এর পরে আর তারা চাদে মানুষ পাঠাতে পারেনি। এখন তো প্রযুক্তি আরো উন্নত। এখন তো আরো সহজে পাঠানোর কথা। কিন্তু তারা পারছে না। আর অন্য দেশ তো কখনোই পারেনি। আসলে এখন চাদে মানুষ পাঠাতে পারে না কারন স্যাটালাইট ও কম্পিউটার এখন সব দেশের কাছে আছে। চাদে পাঠানোর নামে ভুয়া দিলে ধরা খেয়ে যাবে। তখন এগুলো শুধু আমেরিকার কাছেই ছিল। কাজেই ভুয়া দিতে পেরেছে। 

চাদে যাওয়ার ঘটনাটা সম্পুর্ন সুটিং করে সিনেমার মতন বানানো হয়েছে। সারা দুনিয়ার লোককে সেগুলো দেখিয়ে বোকা বানানো হয়েছে। উদ্দেশ্য ছিল রাশিয়াকে টেক্কা দেওয়া। কারন মহাশুন্য অভিযানে সেই সময় রাশিয়া এগিয়ে ছিল। রাশিয়াকে পরাজিত করতে আমেরিকা এমন কিছু করে দেখালো যেটা এখনো সম্ভব নয়। চাদে যাওয়ার মতন প্রযুক্তি এখোনো আবিস্কার হয়নি। নাসা পরোক্ষভাবে এটা স্বীকারও করেছে। তারা বলেছে যে তাদের পরিকল্পনা আছে ২০৩৫ সালে চাদে মানুষ পাঠানো। যাতে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে খুত বের করা না যায়, সেজন্য চাদে যাবার আসল ভিডিও ওরা মুছে ফেলেছে। যদিও নাসা বলেছে এটা তারা ভুল করে মুছে ফেলেছে। কি অসাধারন অজুহাত। এমন একটা ঐতিহাসিক ভিডিও নাকি ভুল করে মুছে গেছে, তাও আবার নাসার কাজ থেকে। 

এত কিছুর পরেও চাদে যাবার এই মিথ্যা ঘটনাটা এমনভাবে প্রচার হয়েছে – এমন ভাবে পাঠ্যবইতে এসে গেছে যে – এটা যে ভুয়া সেটা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখালেও কেউ বিশ্বাস করে না।

Comments

  1. Ei abal kothon pore je 10 minute noshto korlam ta ferot den. Biggan boi jibone chuye dekhchhen bole mone hoy nai apnar lekha pore. Apnar beshirbhag content Flat-Earther society er publications theke copy kore torjoma kora.

    ReplyDelete

Post a Comment