মুক্তমনা নামধারী ইসলাম বিদ্বেষিরা প্রায়ই কোরআনের বৈজ্ঞানিক ভুল ধরার চেস্টা করে। এই চেস্টার সবচেয়ে মোক্ষম অস্ত্র হল “সুর্য পৃথিবীর চারিদিকে ঘোরে”। কোরআনে সরাসরি এই কথা লেখা নেই। কিন্তু যা লেখা আছে তাতে এটাই ইঙ্গিত করে। এছাড়া অনেক হাদিসেও এই একই ইঙ্গিত করে। সুর্য উদিত হয়, অস্ত যায়, পশ্চিমে ডলে পড়ে, ডুবে যায়, পাহাড়ের পাশ দিয়ে যায় ইত্যাদি বিভিন্ন কথা আছে বিভিন্ন আয়াতে। এগুলো পড়লে বোঝা যায় সুর্য চলমান এবং এটা পৃথিবীর চারিদিকে ঘোরে। কোন আয়াতে এই কথা লেখা আছে সেটা লিখে এই লেখাটা বড় করছি না। কৌতুহলীরা এখানে আয়াতগুলো দেখতে পারেন।
ইসলাম বিদ্বেষীরা তো যথারীতি তাদের রেকর্ড বাজিয়ে চলেছেন । ইসলাম মধ্যযুগীয়, কোরআন অবৈজ্ঞানিক ইত্যাদি অপবাদ দিচ্ছে। তাদের মধ্যে যারা বংশ পরিচয়হীন তারা তো সরাসরি আল্লাহ ও তার রাসুলকে কটু কথা বলছে। সমস্যাটা আসলে কোথায়? সমস্যা মাত্র একটি যায়গায়। বিজ্ঞান বলছে, পৃথিবী সুর্যের চারিদিকে ঘোরে ওদিকে কোরআন বলছে (বা ইঙ্গিত দিচ্ছে) সুর্য পৃথিবীর চারিদিকে ঘোরে। সম্পুর্ন বিপরীত দুটি কথা। এই কথা দুটি একসাথে সঠিক হতে পারে না। যে কোন একটি অবশ্যই ভুল। এটা খুব ছোট একটা বিষয় হলেও এটা কিন্তু ঈমানের জন্য বেশ বড় একটা হুমকী। কারন আমরা বিজ্ঞান পড়ে যে কথা শিখছি তার ঠিক বীপরিত কথা পাচ্ছি ইসলামে। কোরআন মানলে, আধুনিক বিজ্ঞান এর কথা ছুড়ে ফেলে দিতে হবে। আবার বিজ্ঞান মানলে এটা বলতে হবে যে কোরআনে ভুল বলা আছে (নাউজুবিল্লাহ)। কোনটা রেখে কোনটা ধরবেন। আপনি যতই ইসলাম মনা হোন না কেন, মনের কোনায় একবার এই প্রশ্ন উকি দিবেই – কোরাআনে বিজ্ঞান বিরোধী কথা বলা কেন?
এই সমস্যা সমাধানের জন্য বিভিন্ন আলেম মতবাদ দিয়েছেন – মুসলমানের কাছে সবচেয়ে বড় দলিল হল কোরআন। এখানে যা লেখা আছে সেটা সঠিক। সেটা বিজ্ঞান বিরোধী হলে কিছু যায় আসে না। তাছাড়া বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা পরিবর্তনশীল কিন্তু কোরআন অপরিবর্তিত। আলেমদের সমাধানটি চমতকার। এতে আপনি বিজ্ঞানে আস্থা হারালেও, ইসলামে আস্থা (ঈমান) ঠিক রাখতে পারবেন। অর্থাৎ একটাকে ছাড়তে হচ্ছে। তবে, যারা ঈমান ঠিক রাখার পাশাপাশি বিজ্ঞানেও আস্থা রাখতে চান, অর্থাৎ দু কুলই রাখতে চান, তাদের জন্যই আমার এই লেখা।
“পৃথিবী সুর্যের চারিদিকে ঘোরে” – এই সত্যটি ২য় শ্রেনীর বিজ্ঞান বইতেই পাওয়া গেলেও আসলে এই সত্যটি আধুনিক যুগে কতজন মানুষ জানে সে ব্যাপারে আপনার কোন ধারনা আছে? আমাদের মতন অনুন্নত দেশের কথা বলছি না। খোদ আমেরিকাতেই প্রতি ৪ জনের ১ জন, এখনো এই সত্যটি জানে না।( সুত্র এখানে দেখুন)। যেখানে আমেরিকার মতন দেশেরই এই অবস্থা সেখানে অনুন্নত দেশের কথা নাইবা বললাম। এর থেকে বোঝা যায় যে বিজ্ঞানের এই স্বর্নযুগেও দুনিয়ার অর্ধেকের বেশী মানুষ এখনো মনে করে যে - “সুর্য পৃথিবীর চারিদিকে ঘোরে”। যাই হোক, যে যাই মনে করুক, সত্য অপরিবর্তনীয়।
প্রাচীন বিজ্ঞানের ধারনা ছিল, পৃথিবী হল মহাকাশের কেন্দ্র। সুর্য, গ্রহ, তারকা ইত্যাদি সবকিছুই পৃথিবীর চারিদিকে ঘোরে। মধ্যযুগীয় (৪০০ বছর আগে) বিজ্ঞানের আবিস্কার হল - তারকা স্থির, গ্রহগুলো তারকার চারিদিকে ঘোরে। সুর্য একটি তারকা আর পৃথিবী হচ্ছে এর চারিদিকে ঘোরা একটি গ্রহ। আধুনিক বিজ্ঞানের যে আবিস্কারটি যোগ হয়েছে সেটা হল তারকারাও (গ্রহগুলোকে সাথে নিয়ে) ঘুরছে। স্থির কিছুই নেই। সবই নিজের কক্ষপথে ঘুরছে। এই আধুনিক ধারনাটা কিন্তু কোরআনে আছে।
“এবং তিনিই দিবা-নিশি এবং চন্দ্র-সূর্য সৃষ্টি করেছেন। সবাই আপন আপন কক্ষ পথে বিচরণ করে।” (সূরা আমবীয়াঃ ৩৩)
যেখানে আধুনিক বিজ্ঞানের আবিস্কার “সবাই আপন আপন কক্ষ পথে বিচরণ করে” কোরআনে দেওয়া আছে সেখানে মধ্যযুগীয় বিজ্ঞানের আবিস্কার “পৃথিবী সুর্যের চারিদিকে ঘোরে” কোরআনে কেন দেওয়া নেই এই নিয়ে ফালাফালি করে কি লাভ? ২য় শ্রেনীর বিজ্ঞান বইতে লেখা আছে “পৃথিবী সুর্যের চারিদিকে ঘোরে”। কিন্তু সুর্য যে নিজেও ঘোরে সেটা কোথাও লেখা নেই। সেটা লেখা আছে ৯ম শ্রেনীর বিজ্ঞান বইতে। এর মানে কিন্তু ২য় শ্রেনীর বই ভুল নয়। ওটা শিশুদের বই তাই বিস্তারিত আলোচনা নেই। কোরআনে ৯ম শ্রেনীর বিজ্ঞানের কথাটাই লেখা আছে। এখানে “২য় শ্রেনীর বিজ্ঞান কেন নেই” এই প্রশ্ন তোলাটা বোকামী।
একজন প্রবাসী তার বালক পুত্রের কাছে চিঠিতে লিখেছে “তোমার জামা কাপড় প্রতি বছর ছোট হয়ে যায়। আমি নতুন জামা-কাপড় কিনে দেই। এমনিভাবে তোমার সকল প্রয়োজন মিটিয়ে দেই। কিন্তু তুমি একবারও আমাকে সুন্দর করে ‘বাবা’ বলে ডাকো না”। এই বালকটি তরুন বয়সে বিশাল যুক্তিবাদী হয়ে গেল। সে তার বাবার চিঠির ওই লাইনটি দেখিয়ে বলছে – “দেখেছ? আমার বাবা কতখানি মুর্খ। জামা নাকি ছোট হয়ে যায়। ওরে, জামা ছোট হয় না, বরং মানুষ বড় হয়। আমার বাবা কত বড় ভুল লিখেছে”। লক্ষ্য করুন, বাবা ওই চিঠিতে কিন্তু “জামা ছোট বড়” এর তত্ব শেখায় নি। বাবা তার ছেলেকে কি দিয়েছে সেটাই মনে করিয়ে দিয়েছে। ছেলেটি কিন্তু আসল কথা বোঝার চেস্টা না করে অপ্রয়োজনীয় কথা নিয়ে ফালাফালি করছে।
ইসলাম বিদ্বেষিদের অবস্থাটাও ওই ছেলেটির মতন । তারাও আসল কথাটা বাদ দিয়ে অপ্রয়োজনীয় কথা নিয়ে ফালাফালি করে। উদাহরন -
“আল্লাহ তাআ’লা সূর্যকে পূর্ব দিক থেকে উদিত করেন। তুমি পারলে পশ্চিম দিক থেকে উদিত কর।” (সূরা বাকারাঃ ২৫৮)
উপরের আয়াতের আসল কথা হল - আল্লাহ সুর্যকে পুর্ব থেকে উদিত হবার যে কায়দা করে রেখেছেন সেটা বদলানো মানুষের সাধ্যের বাইরে। কিন্তু ইসলাম বিদ্বেষিরা যেটা বোঝে তা হল – এখানে ভুল লেখা আছে। সুর্য পুর্ব থেকে উদিত হয় না। বরং পৃথিবী পশ্চিম থেকে পুর্ব দিকে ঘোরে। ঠিক ওই “জামা ছোট হয় না, মানুষ বড় হয়” এর মতন যুক্তি।
এখন প্রশ্ন থাকতে পারে যে , সঠিক কথাটা কোরআনে বলা হলে কি এমন সমস্যা হোত? কোরআনের (সূরা বাকারাঃ ২৫৮) আয়াতটিতে কি এমন লেখা থাকতে পারত না “আল্লাহ পৃথিবীকে পশ্চিম থেকে পুর্ব দিকে ঘোরান, তুমি পারলে উলটা ঘোরাও তো” । এমন লিখলেই তো সেটা বিজ্ঞান সম্মত হত। আর কোন সমস্যাও থকত না।
হ্যা, এমন লেখা থাকতে পারত। কিন্তু তাতে সমস্যা আরো বাড়ত। আগেই বলেছি, দুনিয়ার অর্ধেকেরও বেশী লোক এখনো জানে না “পৃথিবী সুর্যের চারিদিকে ঘোরে”। সেই লোকদেরকে কে বোঝাতো? এখন তো গুটি কয়েক ইসলাম বিদ্বেষী কোরআনকে ভুল বলছে। তখন তো দুনিয়ার অর্ধেকেরও বেশী মানুষ কোরআনকে ভুল বলত। এটা তো বললাম আধুনিক যুগের কথা। ৪০০ বছর আগে তো দুনিয়ার কোন মানুষ জানতোই না “পৃথিবী সুর্যের চারিদিকে ঘোরে”। অর্থাৎ কোরআন নাজিল হবার পর এক হাজার বছর ধরে সারা দুনিয়ার মানুষ কোরআনকে ভুল বলত।
সবচেয়ে বড় কথা হল, কোরআন কোন বিজ্ঞান শেখানোর বই নয়। এতে ইবাদতের কথা বলা হয়েছে। আল্লাহর নেয়ামত দেখিয়ে শুকরিয়ার কথা বলা হয়েছে। সেই নেয়ামতগুলি আমরা যেমন দেখি তেমনই বলা আছে। সেগুলোর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেওয়ার বই কোরআন নয়। পৃথিবী সুর্যের চারদিকে ঘুরলেও, আমরা কিন্তু সুর্যকে উদিত হতে ও অস্ত যেতে দেখি। সবাই এমনই দেখে। সবযুগে এমনই দেখবে। তাই এমন কথা বলা আছে।যেটা সবযুগের জন্যই সত্য।
ইসলাম বিদ্বেষীরা তো যথারীতি তাদের রেকর্ড বাজিয়ে চলেছেন । ইসলাম মধ্যযুগীয়, কোরআন অবৈজ্ঞানিক ইত্যাদি অপবাদ দিচ্ছে। তাদের মধ্যে যারা বংশ পরিচয়হীন তারা তো সরাসরি আল্লাহ ও তার রাসুলকে কটু কথা বলছে। সমস্যাটা আসলে কোথায়? সমস্যা মাত্র একটি যায়গায়। বিজ্ঞান বলছে, পৃথিবী সুর্যের চারিদিকে ঘোরে ওদিকে কোরআন বলছে (বা ইঙ্গিত দিচ্ছে) সুর্য পৃথিবীর চারিদিকে ঘোরে। সম্পুর্ন বিপরীত দুটি কথা। এই কথা দুটি একসাথে সঠিক হতে পারে না। যে কোন একটি অবশ্যই ভুল। এটা খুব ছোট একটা বিষয় হলেও এটা কিন্তু ঈমানের জন্য বেশ বড় একটা হুমকী। কারন আমরা বিজ্ঞান পড়ে যে কথা শিখছি তার ঠিক বীপরিত কথা পাচ্ছি ইসলামে। কোরআন মানলে, আধুনিক বিজ্ঞান এর কথা ছুড়ে ফেলে দিতে হবে। আবার বিজ্ঞান মানলে এটা বলতে হবে যে কোরআনে ভুল বলা আছে (নাউজুবিল্লাহ)। কোনটা রেখে কোনটা ধরবেন। আপনি যতই ইসলাম মনা হোন না কেন, মনের কোনায় একবার এই প্রশ্ন উকি দিবেই – কোরাআনে বিজ্ঞান বিরোধী কথা বলা কেন?
এই সমস্যা সমাধানের জন্য বিভিন্ন আলেম মতবাদ দিয়েছেন – মুসলমানের কাছে সবচেয়ে বড় দলিল হল কোরআন। এখানে যা লেখা আছে সেটা সঠিক। সেটা বিজ্ঞান বিরোধী হলে কিছু যায় আসে না। তাছাড়া বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা পরিবর্তনশীল কিন্তু কোরআন অপরিবর্তিত। আলেমদের সমাধানটি চমতকার। এতে আপনি বিজ্ঞানে আস্থা হারালেও, ইসলামে আস্থা (ঈমান) ঠিক রাখতে পারবেন। অর্থাৎ একটাকে ছাড়তে হচ্ছে। তবে, যারা ঈমান ঠিক রাখার পাশাপাশি বিজ্ঞানেও আস্থা রাখতে চান, অর্থাৎ দু কুলই রাখতে চান, তাদের জন্যই আমার এই লেখা।
“পৃথিবী সুর্যের চারিদিকে ঘোরে” – এই সত্যটি ২য় শ্রেনীর বিজ্ঞান বইতেই পাওয়া গেলেও আসলে এই সত্যটি আধুনিক যুগে কতজন মানুষ জানে সে ব্যাপারে আপনার কোন ধারনা আছে? আমাদের মতন অনুন্নত দেশের কথা বলছি না। খোদ আমেরিকাতেই প্রতি ৪ জনের ১ জন, এখনো এই সত্যটি জানে না।( সুত্র এখানে দেখুন)। যেখানে আমেরিকার মতন দেশেরই এই অবস্থা সেখানে অনুন্নত দেশের কথা নাইবা বললাম। এর থেকে বোঝা যায় যে বিজ্ঞানের এই স্বর্নযুগেও দুনিয়ার অর্ধেকের বেশী মানুষ এখনো মনে করে যে - “সুর্য পৃথিবীর চারিদিকে ঘোরে”। যাই হোক, যে যাই মনে করুক, সত্য অপরিবর্তনীয়।
প্রাচীন বিজ্ঞানের ধারনা ছিল, পৃথিবী হল মহাকাশের কেন্দ্র। সুর্য, গ্রহ, তারকা ইত্যাদি সবকিছুই পৃথিবীর চারিদিকে ঘোরে। মধ্যযুগীয় (৪০০ বছর আগে) বিজ্ঞানের আবিস্কার হল - তারকা স্থির, গ্রহগুলো তারকার চারিদিকে ঘোরে। সুর্য একটি তারকা আর পৃথিবী হচ্ছে এর চারিদিকে ঘোরা একটি গ্রহ। আধুনিক বিজ্ঞানের যে আবিস্কারটি যোগ হয়েছে সেটা হল তারকারাও (গ্রহগুলোকে সাথে নিয়ে) ঘুরছে। স্থির কিছুই নেই। সবই নিজের কক্ষপথে ঘুরছে। এই আধুনিক ধারনাটা কিন্তু কোরআনে আছে।
“এবং তিনিই দিবা-নিশি এবং চন্দ্র-সূর্য সৃষ্টি করেছেন। সবাই আপন আপন কক্ষ পথে বিচরণ করে।” (সূরা আমবীয়াঃ ৩৩)
যেখানে আধুনিক বিজ্ঞানের আবিস্কার “সবাই আপন আপন কক্ষ পথে বিচরণ করে” কোরআনে দেওয়া আছে সেখানে মধ্যযুগীয় বিজ্ঞানের আবিস্কার “পৃথিবী সুর্যের চারিদিকে ঘোরে” কোরআনে কেন দেওয়া নেই এই নিয়ে ফালাফালি করে কি লাভ? ২য় শ্রেনীর বিজ্ঞান বইতে লেখা আছে “পৃথিবী সুর্যের চারিদিকে ঘোরে”। কিন্তু সুর্য যে নিজেও ঘোরে সেটা কোথাও লেখা নেই। সেটা লেখা আছে ৯ম শ্রেনীর বিজ্ঞান বইতে। এর মানে কিন্তু ২য় শ্রেনীর বই ভুল নয়। ওটা শিশুদের বই তাই বিস্তারিত আলোচনা নেই। কোরআনে ৯ম শ্রেনীর বিজ্ঞানের কথাটাই লেখা আছে। এখানে “২য় শ্রেনীর বিজ্ঞান কেন নেই” এই প্রশ্ন তোলাটা বোকামী।
একজন প্রবাসী তার বালক পুত্রের কাছে চিঠিতে লিখেছে “তোমার জামা কাপড় প্রতি বছর ছোট হয়ে যায়। আমি নতুন জামা-কাপড় কিনে দেই। এমনিভাবে তোমার সকল প্রয়োজন মিটিয়ে দেই। কিন্তু তুমি একবারও আমাকে সুন্দর করে ‘বাবা’ বলে ডাকো না”। এই বালকটি তরুন বয়সে বিশাল যুক্তিবাদী হয়ে গেল। সে তার বাবার চিঠির ওই লাইনটি দেখিয়ে বলছে – “দেখেছ? আমার বাবা কতখানি মুর্খ। জামা নাকি ছোট হয়ে যায়। ওরে, জামা ছোট হয় না, বরং মানুষ বড় হয়। আমার বাবা কত বড় ভুল লিখেছে”। লক্ষ্য করুন, বাবা ওই চিঠিতে কিন্তু “জামা ছোট বড়” এর তত্ব শেখায় নি। বাবা তার ছেলেকে কি দিয়েছে সেটাই মনে করিয়ে দিয়েছে। ছেলেটি কিন্তু আসল কথা বোঝার চেস্টা না করে অপ্রয়োজনীয় কথা নিয়ে ফালাফালি করছে।
ইসলাম বিদ্বেষিদের অবস্থাটাও ওই ছেলেটির মতন । তারাও আসল কথাটা বাদ দিয়ে অপ্রয়োজনীয় কথা নিয়ে ফালাফালি করে। উদাহরন -
“আল্লাহ তাআ’লা সূর্যকে পূর্ব দিক থেকে উদিত করেন। তুমি পারলে পশ্চিম দিক থেকে উদিত কর।” (সূরা বাকারাঃ ২৫৮)
উপরের আয়াতের আসল কথা হল - আল্লাহ সুর্যকে পুর্ব থেকে উদিত হবার যে কায়দা করে রেখেছেন সেটা বদলানো মানুষের সাধ্যের বাইরে। কিন্তু ইসলাম বিদ্বেষিরা যেটা বোঝে তা হল – এখানে ভুল লেখা আছে। সুর্য পুর্ব থেকে উদিত হয় না। বরং পৃথিবী পশ্চিম থেকে পুর্ব দিকে ঘোরে। ঠিক ওই “জামা ছোট হয় না, মানুষ বড় হয়” এর মতন যুক্তি।
এখন প্রশ্ন থাকতে পারে যে , সঠিক কথাটা কোরআনে বলা হলে কি এমন সমস্যা হোত? কোরআনের (সূরা বাকারাঃ ২৫৮) আয়াতটিতে কি এমন লেখা থাকতে পারত না “আল্লাহ পৃথিবীকে পশ্চিম থেকে পুর্ব দিকে ঘোরান, তুমি পারলে উলটা ঘোরাও তো” । এমন লিখলেই তো সেটা বিজ্ঞান সম্মত হত। আর কোন সমস্যাও থকত না।
হ্যা, এমন লেখা থাকতে পারত। কিন্তু তাতে সমস্যা আরো বাড়ত। আগেই বলেছি, দুনিয়ার অর্ধেকেরও বেশী লোক এখনো জানে না “পৃথিবী সুর্যের চারিদিকে ঘোরে”। সেই লোকদেরকে কে বোঝাতো? এখন তো গুটি কয়েক ইসলাম বিদ্বেষী কোরআনকে ভুল বলছে। তখন তো দুনিয়ার অর্ধেকেরও বেশী মানুষ কোরআনকে ভুল বলত। এটা তো বললাম আধুনিক যুগের কথা। ৪০০ বছর আগে তো দুনিয়ার কোন মানুষ জানতোই না “পৃথিবী সুর্যের চারিদিকে ঘোরে”। অর্থাৎ কোরআন নাজিল হবার পর এক হাজার বছর ধরে সারা দুনিয়ার মানুষ কোরআনকে ভুল বলত।
সবচেয়ে বড় কথা হল, কোরআন কোন বিজ্ঞান শেখানোর বই নয়। এতে ইবাদতের কথা বলা হয়েছে। আল্লাহর নেয়ামত দেখিয়ে শুকরিয়ার কথা বলা হয়েছে। সেই নেয়ামতগুলি আমরা যেমন দেখি তেমনই বলা আছে। সেগুলোর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেওয়ার বই কোরআন নয়। পৃথিবী সুর্যের চারদিকে ঘুরলেও, আমরা কিন্তু সুর্যকে উদিত হতে ও অস্ত যেতে দেখি। সবাই এমনই দেখে। সবযুগে এমনই দেখবে। তাই এমন কথা বলা আছে।যেটা সবযুগের জন্যই সত্য।
মাশাআল্লাহ
ReplyDelete৪০০ বছর আগে তো দুনিয়ার কোন মানুষ জানতোই না “পৃথিবী সুর্যের চারিদিকে ঘোরে”।
ReplyDeleteএটা কোন যুক্তি হল? মানুষ জানুক আর না জানুক আল্লাহর তো সত্যিটা বলা উচিৎ। ঈসা নবী আল্লাহর সন্তান না,উনি ক্রুসিফাইড হননি এটা তো কোরানে ঠিকই বলা আছে, যদিও তখনকার সব মানুষ উল্টোটা বিশ্বাস করত। বাকি সব ব্যাপারে যদি কোরান মানুষের ভুল ভাঙাতে পারে তাহলে বিজ্ঞান বিষয়ে কেন ভুল ভাঙাবে না। আরে ভাই কেউ যদি এই ভুলগুলি নাইই ভাঙায় তাহলে আমরা সত্যিটা তো কখনোই জানতে পারতাম না। কোরাণ যদি চোদ্দশ বছর আগে সব ধরণের বৈজ্ঞানিক ভুল গুলি মানুষকে জানিয়ে যেয় তাহলে আমরা আরো কয়েকশ বছর এগিয়ে থাকতাম।
আর ভাই, ভুল ভুলই।
এবং তিনিই রাত-দিন এবং চন্দ্র-সূর্য সৃষ্টি করেছেন। সব আপন-আপন কক্ষপথে বিচরন করে।(সূরা আমবীয়াঃ ৩৩)।
Deleteভাই নিচের ভিডিওটা দেখেন।।।।।। https://youtu.be/lFvzmJ6Ot6s
Deleteছাগল।তখনকার মানুষ কি দেখে কী বুঝত তাই বলা হয়েছে।
Deleteসম্পূর্ণ সঠিক ভাই। ভালবাসা নিবেন আর মূর্খদের এড়িয়ে চলুন।
ReplyDeleteমাশা আল্লা এত সুন্দর কথা লিখছেন ধন্যবাদ
ReplyDeleteমানুষ যা দেখে-বোঝে তাই যদি কোরান বলে তো এই গ্রন্থতো যে কোনো মূর্খ বলদও লিখতে পারবে ।
ReplyDeleteআপনি কুরআনের একটি আয়াত লিখে দেখান দেখি। আপনার সাধ্য কত।
Delete