প্রশ্নটি অনেক পুরাতন। ইসলামের অনেক আগে থেকেই প্রশ্নটি প্রচলিত আছে। ভাগ্য কি নির্ধারিত থাকে নাকি মানুষ ভাগ্য গড়তে পারে। এখনও এই প্রশ্নটি টেনে আনা হয়। এখনও আমরা এর জবাব খুজি ও বিভ্রান্ত হই। ভাগ্য হল নির্ধারিত ভবিশ্যত। এটা আগেই নির্ধারিত থাকে। সেই এটাও সত্য যে মানুষের কর্মও এই ভাগ্যের জন্য দায়ী। এক্ষেত্রে যে কারনে প্রশ্নটি আসে তা হল - একজন ব্যাক্তি যদি পাপ করে, সেটা আগেই নির্ধারিত থাকে। তাহলে ওই ব্যাক্তি দায়ী কেন বা পরোকালে তার সাজা হবে কেন? ভাগ্য আগেই নির্ধারিত থাকে - মানুষের কর্ম ভাগ্যের জন্য দায়ী। এই কথা দুটি পরস্পর বিরোধী কথা। এই দুই রকমের কথা একসাথে কিভাবে সত্য হয়? মজার মজার ব্যাপার, কোরআনে এই দুই পক্ষেই আয়াত আছে।
ভাগ্য নির্ধারিত থাকেঃ (আল-করআন)
- পৃথিবীতে বা ব্যাক্তিগতভাবে তোমাদের উপরে যে বিপর্যয় আসে আমি উহা সংগঠিত করিবার পুর্বে উহা লিপিবদ্ধ থাকে; আল্লাহর পক্ষে ইহা খুবই সহজ (৫৭;২২)
- অদৃশ্য কুঞ্জি (চাবি) তাঁহার নিকট রহিয়াছে, তিনি ব্যাতিত অন্য কেহ তাহা জানে না। জলে ও স্থলে যাহা কিছু আছে তাহা তিনি অবগত, তাঁহার অজ্ঞাতসারে একটি পাতাও পড়ে না। মৃত্তিকার অন্ধকারে এমন কোন শস্যকনাও অঙ্কুরিত হয় না অথবা রসযুক্ত কিংবা শুস্ক এমন কোন বস্তু নাই যাহা সুস্পস্ট কিতাবে নাই (৬;৫৯)
- আমারই নিকট আছে প্রত্যেক বস্তুর ভান্ডার এবং আমি উহা পরিজ্ঞাত পরিমানেই সরবরাহ করিয়া থাকি (১৫;২১)
- ...আল্লাহ যাহাকে ইচ্ছা বিভ্রান্ত করেন এবং যাহাকে ইচ্ছা সৎপথে পরিচালিত করেন এবং তিনি পরাক্রমশালী , প্রজ্ঞাময়
- বল, হে সার্বভৌম শক্তির মালিক আল্লাহ। তুমি যাহাকে ইচ্ছা ক্ষমতা প্রদান কর এবং যাহার নিকট হইতে ইচ্ছা ক্ষমতা কাড়িয়া লও; যাহাকে ইচ্ছা তুমি ইজ্জত দান কর, আর যাহাকে ইচ্ছা তুমি হীন কর। কল্যান তোমার হাতেই। নিশ্চয়ই তুমি সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান।
মানুষ কর্ম ও চেস্টায় ভাগ্য পরিবর্তন হয়ঃ (আল - কোরআন)
- ... এবং আল্লাহ কোন সম্প্রদায়ের অবস্থা পরিবর্তন করেন না যতক্ষন না উহারা নিজ অবস্থা নিজে পরিবর্তন করে ...।(১৩;১১)
- ... কাহাকেও আমি প্রেথিত করিয়াছিলাম ভুগর্ভে এবং কাহাকেও করিয়াছিলাম নিমিজ্জিত। আল্লাহ তাহাদের প্রতি জুলুম করে নাই; তাহারা নিজেরাই নিজেদের প্রতি জুলুম করিয়াছিল। (২৯;৪০)
- ... অতঃপর উহা আল্লাহর অনুগ্রহ অস্বীকার করল , ফলে তাহারা যাহা করিত তজ্জন্য আল্লাহ তাহাদেরকে স্বাদ গ্রহন করাইলেন ক্ষুধা ও ভীতি আচ্ছাদনের। (১৬;১২২)
- ... যে সতকর্ম করে সে নিজের কল্যানের জন্যই উহা করে এবং কেহ মন্দ কর্ম করিলে উহার প্রতিফল সে-ই ভোগ করিবে। তোমার প্রতিপালক তাঁহার বান্দাদের প্রতি জুলুম করেন না(৪১;৪৬)
- আমি তাহাকে পথের নির্দেশ দিয়াছি, হয় সে কৃতজ্ঞ হইবে, না হয় সে অকৃতজ্ঞ হইবে। (৭৬;৩)
- বল, সত্য তোমার প্রতিপালকের নিকট হইতে ; সুতরাং যাহার ইচ্ছা বিশ্বাস করুক ও যাহার ইচ্ছা সত্য প্রত্যাখ্যান করুক ... (১৮;২৯)
- মানুষের কৃতকর্মের দরুন স্থলে ও সমুদ্রে বিপর্যয় ছড়াইয়া পড়ে ... (৩০;৪১)
কোরআনে একদিকে বলা আছে বিপর্যয় লিপিবদ্ধ থাকে, অন্যদিকে বলা আছে মানুষের কৃতকর্মের দরুন বিপর্যয় হয়। একদিকে বলা আছে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সৎ পথে পরিচালিত করেন, অন্যদিকে বলা আছে বিশ্বাস করুক বা নাই করুক। একদিকে বলা আছে যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা দান করেন, অন্যদিকে বলা আছে অস্বীকারকারীকে শাস্তি দেওয়ার কথা। দুই পক্ষেই কথা বলা আছে কোরআনে। কোরআনে যখন আছে, এই দুটি পক্ষই সত্য। এখন এই দুই পক্ষের সমন্বয় করতে হলে আমার যুক্তিতেই ফিরে আসতে হবে।
ভাগ্য হল নির্ধারিত ভবিশ্যত ও তার ফলাফল। এর সবই নির্ধারিত। ধরুন, আপনি এই মুহুর্তে একটি চেয়ারে বসে এই লেখা পড়ছেন। আগামী এক মিনিটে আপনি কি কি করতে পারেন এর সবই নির্ধারিত আছে। এটা নির্ধারিত আছে যে আপনি চেয়ার ছেড়ে অন্য কোন ঘরে যাবেন। এটা নির্ধারিতে আছে যে আপনি চেয়ারের হাতল ধরে নড়াবেন। এটা নির্ধারিত আছে যে আপনি গুন গুন করে গান গাইবেন। এটা নির্ধারিত আছে আপনি চোখ বন্ধ করে ধ্যান করবেন। এটা নির্ধারিত আছে আপনি মোবাইল ফোন ব্যাবহার করে কাউকে ফোন করবেন। যা যা করতে পারেন, তার সবই নির্ধারিত আছে। কোনটা করার ফলাফল কি হবে সেটাও নির্ধারিত। তাহলে কি নির্ধারিত নেই? আপনি চেয়ারের এক ফুট উপরে শুন্যে ভেসে থাকবেন, সেটা নির্ধারিত নেই। আপনি চেয়ারকে চা খাওয়াবেন , এটা নির্ধারিত নেই। আপনি প্লাস্টিকের পানির বোতলকে স্বর্নের বানিয়ে ফেলবেন, এটা নির্ধারিত নেই। অর্থাৎ সে সব জিনিস আপনার পক্ষে করা অসম্ভব, তার কোনটাই নির্ধারিত নেই। আর যে সব আপনার দ্বারা করা সম্ভব - তার সবই নির্ধারিত আছে আপনার ভাগ্যে বা ভবিশ্যতে। আসলে নির্ধারিত আছে বলেই সেটা আপনি করতে পারছেন, নইলে সেই কাজটা করতেই পারতেন না। আপনি শুন্যে ভেসে থাকবেন এটা নির্ধারিত নেই, তাই এটা করতে পারেন না।
আশা করি "নির্ধারিত" জিনিসটা বোঝাতে পেরেছি। একজন লোককে আপনি চড় দিবেন সেটাও নির্ধারিত, আবার তাঁকে চুমু দিবেন সেটাও নির্ধারিত। এই দুই নির্ধারিত ভবিশ্যতের মধ্যে কোনটা বেছে নিবেন সেটা আপনার ব্যাপার। হাজার হাজার নির্ধারিত ভবিশ্যতের মধ্যে থেকে একটা বেছে নেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। আমাদেরকে সেই স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। এই বেছে নিতে আল্লাহ আমাদেরকে বাধ্য করেন না। যেটা বেছে নিব, তার দোষ গুন সবই আমাদের নিজের। আল্লাহ আমাদেরকে বেছে নিতে বাধ্য করলে পরকালে কোন বিচারের দরকার হোত না। আমরা কোনটা বেছে নেই তার উপরেই তো আমাদের পাপ পুন্য নির্ভর করে। তার উপরেই বিচার হবে।
তবে এই কথার শেষে আর একটা কথা যোগ করতে হয়। সেটা হল, আল্লাহর ক্ষমতা, শক্তি , সন্মান যে কত বড় সেটা বোঝা বা বর্ননা করা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। শেষ বিচারের সময় শাস্তি থেকে বাচতে অনেকেই আল্লাহর নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নিজের দোষ লুকানোর চেস্ট করবে। কিন্তু কেউ যদি কোন সত্য অভিযোগ করতে পারে, তাহলে আল্লাহর সন্মানের কি অবস্থা হয় সেটা কি ভেবে দেখেছেন? একজন বান্দা যদি আল্লাহর সামনে নামে একটা সত্য অভিযোগ করতে পারে তবে আল্লাহ কেমন সর্বজ্ঞানী, পরম দয়ালু, সর্বশক্তিমান হলেন? জিনিসটা এমন হল যে, আল্লাহর বান্দা আল্লাহর ভুল ধরিয়ে দিচ্ছেন (নাউজুবিল্লাহ)। এমন কখনোই হবে না। কেউ কোন সত্য অভিযোগ করতে পারবে না, সেই সুযোগই তিনি দিবেন না। এই কথাগুলো এজন্য বলছি যে - শেষ বিচারের সময় আপনি যদি আল্লাহর কাছে অভিযোগ করেন "আমি পাপ করেছি কারন আমার ভাগ্যে তুমি (আল্লাহ) পাপ লিখে রেখেছ"। এটা যদি সত্য অভিযোগ হয় তাহলে আল্লাহর সন্মান কোথায় থাকে? না, এমনটা কখনোই হবে না, আল্লাহর কাছে কোনদিন সত্য অভিযোগ নিয়ে যেতে পারবেন না। তিনি ভুল করেন না। "...আমার ভাগ্যে পাপ লিখেছ" এই অভিযোগটা মিথ্যা। কারন, আল্লাহ আপনার ভাগ্যে পাপ ও পুন্য দুটোই লিখে রেখেছেন। এর কোনটা বেছে নিবেন সেটা পুরোপুরি আপনার ব্যাপার। তবে আপনার উপরে পুরোটা ছেড়ে দিলেও, নিজের ইচ্ছায় আপনি কোনটা বেছে নিবেন সেটা তিনি আগেই জানেন। আপনাকে সেটা করতে বাধ্য করেন না।
সবকিছু জেনেও এই কাজ করার সুযোগ তিনি এজন্যই দিয়েছেন যেন শেষ বিচারের সময় আপনি যেন "আমাকে তো সুযোগ দাওনি" এই কথাটা বলতে না পারেন।
ভাগ্য বা ভবিশ্যত নির্ধারিত থাকে। হাজার রকমের ভবিশ্যত ও তার ফলাফল নির্ধারিত থাকে। এর মধ্যে থেকে যে কোন একটা ইচ্ছামতন বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা আমাদেরকে দেওয়া হয়েছে। কোনটা বেছে নিবেন সেটা নির্ধারিত থাকে না। অর্থাৎ, কোনটা করবেন সেটা নির্ধারিত থাকে না। সেটা যদি নির্ধারিত থাকতো তাহলে পাপ ,পুন্য ব্যাপারটাই আসত না। যদিও আগেই আল্লাহ জানেন আপনি কোনটা করবেন। এত কিছু না বুঝে, যদি সহজ ইসলামিক বুঝ বুঝতে চান, তাহলে - ভাগ্যর উপর বিশ্বাস করতে বলা হয়েছে। সেই সাথে চেস্টা ও দোয়া চালিয়ে যেতেও বলা হয়েছে। এখানেও কিন্তু দুই পক্ষই আছে।
একই বিষয়ে আরেকটি লেখাঃ তকদির (ভাগ্য) আগেই নির্ধারিত থাকলে আমার পাপের জন্য আমি কেন দায়ী ?
---
মাথা ধরে গেছে! কথা গুলা মাথার একটু উপর দিয়েই গেল মনে হয়!
ReplyDeleteআমি চেয়ারে বসে থাকব, সেটা নির্ধারিত । এখানে আমি বেছে নিবো কিভাবে ? আমি বেছে নিবো তাহলে উনার নির্ধারন করার কি দরকার ?
ReplyDeleteআপনাকে অনেক ধন্যবাদ কস্ট করে পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
Deleteআপনি ১৫ মিনিট চেয়ারে বসে থাকবেন, সেটা যেমন নির্ধারিত। ঠিক সেই ১৫ মিনিট সময়ের জন্য, আপনি দাঁড়িয়ে থকবেন সেটাও নির্ধারিত ছিল। সেই ১৫ মিনিট সময়ের জন্য, আপনি দৌড়াবেন সেটাও নির্ধারিত ছিল। আপনি নিজে ইচ্ছে করে ওই সময়ে বসে থাকাটা বেছে নিয়েছেন। আপনি চাইলে দাঁড়িয়ে থাকাটাও বেছে নিতে পারতেন। আপনি শুন্যে ভেসে থাকবেন এটা নির্ধারিত ছিল না, তাই আপনি সেটা পারেন না। এতগুলো কাজের অপশন, ও এর ভিন্ন ভিন্ন ফলাফল আল্লাহ আগে থেকেই নির্ধারন করে রেখেছেন। আপনি শুধু বেছে নেন। যেটা বেছে নিবেন, তার সুফুল কুফলের দায় আপনার।
এখন প্রশ্ন হল, এমন নির্ধারন করার কি দরকার? এভাবে কাজগুলি নির্ধারিত করে আপনার ক্ষমতা সীমাবদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তা না হলে আপনি তো এক ফু দিয়েই দুনিয়ে ধ্বংস করে দিতে পারতেন।
ভাই, পরিশ্রম করে পড়াশোনা করে এখন আমি অনার্সে ও মাস্টার্স এ ১মম শ্রেণী পেয়েছি, আমার বন্ধুবান্ধবেরা ঠিক আমার মত রেজাল্ট করে কেউ জনতা আবার কেউ সোনালি ব্যাংক এ জব করছে কিন্তু আমার হচ্ছে না,একদিকে ঐই চাকরি গুলো ইসলামের আইন কানুন এর বিরোধী তাহলে আপনার কাছে আমার প্রশ্ন একই প্রতিষ্ঠান থেকে সব সুযোগ সুবিধা একই পেয়ে আজ কেউবা চাকরী করছে, আবার কেউ বেকার ঘুরছে । পরিশ্রম এক হওয়া সত্যে কেউ ভাগ্যের জোরে হারাম জব করছে আবার কেউ বেকারর, এখন আমি কি করবো, সম্পূর্ন ভাগ্যোর উপর ছেড়ে দিবো নাকি পরিশ্রম করব, শেষ পর্যন্ত চাকরি না হলে দোষ কার আমার ভাগ্যের না পরিশ্রমের. এখন যেকোন একটি সঠিক পথের সন্ধান চাই???
Deleteআপনার ও সেই একই সুবিধা আছে। আপনি চাইলে হারাম থেকে বাঁচতে পারেন আবার নিযুক্ত হতে পারেন
DeleteSujon Ahamed
Deleteদুঃখিত। অনেক দেরীতে প্রশ্নটি চোখে পড়েছে।
ভাগ্য বা নির্ধারিত ভবিশ্যত হল একটি অচেনা শহর। এর কোথায় স্কুল, কোথায় হাসপাতাল, কোথায় মার্কেট...... সব আগেই বানানো (নির্ধারিত) আছে।
পরিশ্রম হল, আপনার কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য বা ঠিকানা (সফলতা) খুজে বের করা এবং সেই পথে কস্ট করে হাটা।
আপনি যদি দেখেন, অনেক পরিশ্রমের পরে এখনও আপনার গন্তব্যে পৌছাতে পারেন নি। এর অর্থ হল, আপনার গন্তব্য আরে সামনে (দূরে) অথবা আপনি ভুল পথে হাটছেন ।
এই পথ ও ঠিকানা আপনি নিজেই খুজে বের করেছেন, নিজেই হাটছেন......... এর সব দোষ-গুন শুধুই আপনার।
------
জীবনের ক্ষেত্রেও তাই। অনেক পরিশ্রমেও সফলতা না আসলে বুঝতে হবে, আরো সময় লাগবে অথবা ভুল পথে (ভুল ক্ষেত্রে বা ভুল পেশায়) চেস্টা করা হচ্ছে।
Khub e baje likha. Opodhartho lekhok. Matha mota kothakar.
ReplyDeletebicisto chitabid vai
Deletetoo apni ekto explain kore bolben
ভাগ্য কি আগেই নির্ধারিত থাকে ?
সুন্দর যুক্তি উপস্থাপন করেছেন তিনি
ReplyDeleteযে লেখেছেন তাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার সালাম নিবেন আমরা স্বল্প জ্ঞানী আমি আজ এক বড় ভাইয়ের তর্ক এর কাছে হেরে যায় এবং একা একা একা চিন্তা করে ভেবে নেই যে এখন আমার যা ইচ্ছা হয় তাই করবো কারণ ভাগ্য তো পূর্ব থেকেই নিধারিত তো আমার কি দোষ? বড় ভাইয়ের কথামতো কারণ আমি খারাপ করবো সৃষ্টকর্তা তো তা জানেন তো আমার যা হবার তা তো হবেই। ধন্যবাদ ভাই সঠিক পদ দেখানোর জন্য। েমাবাঃ ০১৭২৪৬২২৫৯৪
ReplyDeleteভালই বলেছেন ভাই।
ReplyDeleteআলহামদুলিল্লাহ।। আল্লাহ আমাদের চলার পথ কে সহজ করে দিন।।আমিন
আসলে আল্লাহ মহাজ্ঞানী, আর আমরা তার গবেষণার বিষয়বস্তু । তিনি সব কিছুই যেহেতু জানেন, তাহলে কে তার ইবাদত করবে আর কে করবে না সেটাও তিনি জানেন । আমাদেরকে সৃষ্টি করার উদ্দেশ্য কি তাহলে জান্নাত বা জাহান্নামে পাঠানো ? পূর্ব থেকে যেহেতু তিনি জানেন আমি নরকে যাবো, তাহলে তিনি কেন আমাকে দুনিয়াতে পাঠালেন ? আল্লাহর অনুমান পরখ করার জন্য নাকি ?? তাহলে কি আমার তার গবেষণার বিষয়বস্তু নই ?
ReplyDeleteএটা ভালো প্রশ্ন করেছেন। এটার উত্তরটা আমিও চাই।
Deleteআপনাকে দুনিয়াতে পাঠানো হলো না।
Deleteআপনাকে ডাইরেক্ট নরকে পাঠিয়ে দেওয়া হল।
কারন, আল্লাহ জানেন, আপনি নরকে যাবেন/
------
এমন হলে আপনি মেনে নিতেন?
------
তেমন হলে ন্যায় বিচার হয় না। ন্যায়-বিচার হবে তখন, যখন আপনি অপরাধ করবেন, আর পরে শাস্তি পাবেন।
দুনিয়াতে পাঠানো, একটা পরীক্ষা। তবে, সেটা আল্লাহর জন্য না। আল্লাহ এর ফলাফল আগে থেকেই জানেন।
এই পরীক্ষাটা আপনার জন্য, আপনাকে দেখানোর জন্য, ন্যায়বিচারের জন্য
বিস্তারিতঃ
https://youtu.be/hOdLn34F8GM
ভাই,আল্লাহ ভাগ্য নির্ধারণ করে দেন,সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই।
ReplyDeleteতবে আমার মতে(এবং বেশকিছু আলেমদের বক্তব্য যতদূর জানি) আমরা জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত নিজেরা যা কিছু করবো,কতোটুকু সৎ-অসৎ আমল করবো,কতটুকু ভালো খারাপ করবো,কতোটুকু আল্লাহর কাছে দোয়া চাইবো,সেটা আল্লাহ আমাদের সৃষ্টির আগে থেকেই আল্লাহ জানেন বলেই আল্লাহ সেটা আমাদের ভাগ্যে লিখে রেখেছেন।
আল্লাহ সবকিছু পয়েন্ট-বাই-পয়েন্ট নির্ধারণ করে রাখেননি।
বান্দাদের পৃথিবীর জমীনে অবাধে বিচরণের সুযোগ দিয়েছেন।
কিছু জিনিস হয়তো আল্লাহ নিজের ইচ্ছেতে তকদীরে নির্ধারণ করে দিয়েছেন।
তবে আপনার ভাগ্য বিষয়ে এই ব্যাখ্যাটি যথোপযুক্ত বলে মনে হয়নি।
মোটকথা,আমি বিশ্বাস করি আল্লাহ আমাদের ভাগ্যে সেটিই নির্ধারণ করে রেখেছেন বা লিখে রেখেছেন,ঠিক যেভাবে আমরা আমাদের পুরো জীবনকে নিজের ইচ্ছেমতো পরিচালনা করবো....
ধন্যবাদ।
This comment has been removed by the author.
ReplyDeleteআসলে আমি মনে করি কর্মই সব।ভাগ্য সম্পর্কে ইনশাল্লাহ আল্লাহ জানেন সবকিছু- আমাদের কি কি হতে পারে ভবিষ্যতে ।আমরা কর্মগুনে ভাগ্য চেঞ্জ করতে পারি যেটাও আল্লাহ জানেন।আমিকি চেয়ারে বসবো নাকি মাঠে বসে তারা দেখবো সবই আমার ইচ্ছা কিন্তু এর ফলাফল আল্লাহ জানেন।কারণ সৃষ্টীকর্তা আমাদেরকে সেই সুযোগ দিবেন না যাতে আমরা পার পেতে পারি।যেমন- কাকে বিয়ে করবেন,কি চাকুরি করবেন,কি খাবেন সবই নিজের ডিসেশন ভিত্তিক বাট যাই করেন না কেনো আল্লাহ সবই জানেন। ধন্যবাদ ।সবাই ভালো থাকবেন।
ReplyDeleteখুব ভালো হয়েছে ভাই
ReplyDelete