নারীর শ্লীলতাহানী প্রতিরোধে আমাদের যা প্রয়োজন

আমাদের দেশের আইন, পদ্ধতি, নিয়ম, সাধারন মানুষে মানুষিকতা ইত্যাদি বিচার করলে দেখতে পাবেন যে আমাদের মতন পিছিয়ে পড়া একটি দেশে নারীর অবস্থান বেশ শক্ত। নারী অধিকার সংরক্ষনে রয়েছে কড়া আইন। এই মানের অন্য দেশগুলোর দিকে তাকালে দেখতে পারবেন যে ওখানে নারীরা অনেক বেশী নির্যাতিত ও অবহেলিত। এর পরেও আমাদের দেশে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে যেগুলো আমাদেরকে নাড়া দেয়। আমাদের দেশে নারীর অবস্থান নিয়ে আমাদেরকে চিন্তা করাতে বাধ্য করে। যৌতুকের জন্য নারী নির্যাতন, হত্যা, এসিড নিক্ষেপ, ফতোয়া দিয়ে চাবুক মারা, শিক্ষকের ছদ্যবেশে লম্পট, অফিসের বস এর হয়রানী, বখাটেদের জ্বলাতন, শ্লীলতা হানী , ধর্ষন ইত্যাদি কম বেশী নিয়মিত লেগেই আছে। সেই সাথে কালে ভদ্রে এমন কিছু ঘটনা যোগ হয় যা বিশ্বের কাছে আমাদের মাথা নত করে দেয়। এমন ঘটনা হল, শততম ধর্ষনে মিস্টি বিতরন, পুলিশ কতৃক ধর্ষন ও হত্যা, শিক্ষক কতৃক শতাধিক ধর্ষন, সংখা লঘু কিশোরী গনধর্ষন, ইংরেজী নববর্ষে আগের রাতে নারীকে বিবস্ত্র ও সবশেষে সাম্প্রতিক বাংলা নববর্ষে নারীকে বিবস্ত্র করার ঘটনা।

পাশের দেশ ভারতে যেমন ধর্ষন একটা বড় সমস্যা। এ নিয়ে আমরা কিঞ্চিত ছি ছি ও করি। কিন্তু আমাদের দেশে ধর্ষনের হার ভারতের চেয়ে বেশী। কিভাবে বেশী সেটা এই লেখার শেষে দেওয়া আছে। তবে আমাদের মুল সমস্যাটা অন্য যায়গায়। কয়েক বছর পুরাতন একটি সংবাদ আমার মনে এখনও দাগ কেটে আছে। দক্ষিনাঞ্চলে একটি সংখালঘু কিশোরীকে গনধর্ষন করার মুহুর্তে মেয়েটির মা ধর্ষকদের উদেশ্যে বলছে "বাবারা, আমার মেয়েটা ছোট, তোমরা একজন একজন করে যাও"। এই একটি বাক্য আমাদের সমস্যাটা ও এর ভয়াবহতা প্রমান করে দেয়। কোন পরিস্থিতিতে গেলে চোখের সামনে নিজের মেয়েকে একাধিক লম্পট ধর্ষন করছে এটা দেখে তাদেরকে "বাবারা, একজন একজন করে যাও" এই কথাটা বলা যায়। কোন পরিস্থিতিতে মনে হয় ধর্ষন করছে করুন, জানটা বাঁচলেই হল। এমন পরিস্থিতি একমাত্র যুদ্ধের সময়ই হয়। কোন দেশে আইনের শাশন থাকলে এমন পরিস্থিতি হয় না। আমাদের মুল সমস্যাটা এখানেই - আমরা একটি স্বাধীন দেশকে, যুদ্ধ চলছে এমন একটি দেশ বানিয়ে রেখেছি।

এই মুল সমস্যার ভেতরে ঢোকার আগে সমস্যা সম্পর্কে আমাদের প্রচলিত ধারনার কথা বলে নেই। আমারা বাঙ্গালী, কোন কিছুতে একমত হওয়াটা আমাদের স্বভাবে নেই। যথারীতি এসব সমস্যার ব্যাপারে আমাদের একাধিক মত রয়েছে। ইসলাম মনস্ক ভাইয়েরা বলেন যে নারীর পর্দা না করাটা সমস্যা। উদাহরন হিসাবে তারা বিভিন ইসলামিক রাস্ট্রের উদাহরন দিয়ে থাকেন যেগুলোর ধর্ষন ও নারী নির্যাতনের হার বিশ্বে সর্বনিম্ন। অতি আধুনিকতায়, ধর্মকে পাশে ফেলে রাখেন, বা ধর্মকে ছুড়ে ফেলেন, এমন ভাইয়েরা আবার ইউরোপ আমেরিকার উদাহরন দিয়ে থাকেন যেখানে প্রায় নগ্ন হয়েই নারীরা নিরাপদে চলাফেরা করে। তাদের কথা হল, আমাদের সমস্যা আইনে। সঠিক আইন থাকলে নারী নগ্ন হয়েও রাস্তায় চলতে পারবে। বিশিষ্ট সুশিল ও নারীবাদীরা আবার বলেন যে , মুল সমস্যাটা হল নারীর প্রতি সন্মানের অভাব, নারীকে মানুষ বলে গন্য না করাটা সমস্যা। ঊনারাও ইউরোপ আমেরিকা উদাহরন দিয়ে আমাদেরকে শেখান কিভাবে নারীকে সন্মান করতে হয়। সেদিন তো নারীবাদী এক মহিলার লেখা পড়ে আমার চোখ কপালে উঠে গেছে। তিনি অন্য নারীদেরকে শেখাচ্ছেন কিভাবে নিজের ছেলেকে যৌন স্বাস্থ্য বিষয়ে সঠিক শিক্ষা দিয়ে সচেতন করে নারীর সন্মান করা শেখাতে হবে। সেই লেখা পড়ে কত লোক ওই মহিলাকে স্যালুট দিয়েছে, প্রশংশা করেছে। (লিঙ্ক নীচে আছে)

আমার নিজের পরিবার তো দুরের কথা, আমার চেনা জানা কোন বন্ধুর পরিবারও নেই, যেখানে মা-বাবা খোলামেলা ভাবে তাদের সন্তানকে যৌন শিক্ষা দেয় বা দিয়েছে। এর পরেও তাদের কেউই নারীকে অসন্মান করতে শেখেনি। কারন এদের বাবা নিজে নারীকে সন্মান করে তার ছেলেকে নারীর মর্যাদা শিখিয়েছেন। ওই মহিলা যৌন শিক্ষা দিয়ে কিভাবে নারীর সন্মান করতে শেখাবেন, বা এমন আইডিয়া একজনের মাথায় কিভাবে আসতে পারে, সেটা আমার জানা নেই। নারীর প্রতি মর্যাদা একটি জাতিকে সভ্য করে তোলে। যারা নারী শিশু হত্যা প্রতিরোধ করেছে, যারা সতীদাহ প্রথা বন্ধ করেছে, যারা জাহাজ ডুবিতে নারীকে আগে উদ্ধার করেছে, তাদেরকে বিশ্ববাসী সভ্য বলেই জানে। আপনি যদি ইউরোপ আমেরিকাতে থাকেন তবে নারীর প্রতি তাদের সন্মান দেখে আপনার মন ভরে যাবে। ধীরে ধীরে তাদের সন্মানের প্রকৃত রূপটি দেখতে পাবেন। পাঁচ বছরের মধ্যে বুঝতে পারবেন ওরা আসলে নারীকে মোটেই সন্মান করে না। অনেকে অবশ্য সারা জীবন বিদেশে থেকেও এটা বুঝতে পারে না।

সন্মান জিনিসটা ভালোবাসার মতন একটা বিষয়। এর কোন সংজ্ঞা হয় না। সন্মান জিনিসটা প্রদর্শন করার জিনিস না। উন্নত বিশ্বে নারীকে সন্মান প্রদর্শন করা হয়, সন্মান করা হয় না। একটা ছোট উদাহরন দিলে বোঝা যাবে। আমাদের দেশে স্কুল কলেজে দেখা যায়, ৩টা ছেলে আর ২ টা মেয়ে সহপাঠী, এরা খুব ভালো বন্ধু। মানুষ সবাই এক রকমের হয় না। ওই ছেলেদেরা কেউ আলাদা থাকলে বা অন্য বন্ধুদের সাথে থাকলে হয়ত রাস্তায় বিভিন্ন মেয়েদের দিকে আড়চোখে তাকায়, তাদের ফিগার মাপে, দু একটা টিজ করা উক্তিও করে। কিন্তু তারা যখন তাদের সহপাঠি মেয়ে বন্ধুদের সাথে থাকে তখন তারা খুব ভদ্র। সারা দুনিয়ার সব মেয়ে নিয়ে নোংরা আলোচনা করলেও তাদেরকে নিয়ে কিন্তু ওদের আড়ালেও কেউ কোন আলোচনা করে না। যদি ভুল করে কেউ বলেই ফেলে - আমাদের সহপাঠী এই দুটো দেখেছিস? ওদের গায়ের রঙ আকেবারে দুধে আলতা। তাছাড়া ওদের ----। মেয়ে দুটি ওখানে উপস্থিত নেই। এর পরেও অন্য ছেলেরা যারা নারীর শরীর কথা বলায় পটু তারাও এর প্রতিবাদ করবে।

উন্নত বিশ্বে কিন্তু এর ভিন্ন চিত্র দেখা যায়। ওদের ছেলেরা কখনো অচেনা কোন মেয়ে নিয়ে আলোচনা করে না। এমন কোন মেয়েকে নিয়ে আলোচনা করে যাকে নিজেরা সবাই চিনে। অর্থাৎ, নিজদের কমন কোন মেয়ে বন্ধুকে নিয়ে নোংরা আলোচনায় মেতে ওঠাটা পুরুষ বন্ধুদের জন্য স্বাভাবিক। নারী হল ওদের কাছে ভোগের বস্তু, বন্ধু হলেও সেটা ভোগের বন্ধু। আমাদের দেশের উচ্চ পর্যায়ের মহল বা অতি আধুনিক প্রজন্ম ধীরে ধীরে অমন হবার পথে আছে, কিন্তু এখনও পুরোপুরি অমন হতে পারেনি। এখনও আমাদের দেশে নারীকে অনেক বেশী সন্মান করা হয়। অন্তত উন্নত বিশ্বের চেয়ে বেশী। যা বলছি সেটা অনেক প্রবাসী বাঙ্গালী হয়ত মেনে নিবেন না। কিন্তু এগুলো আমি স্বচক্ষে দেখেছি। আপনার পেশার ব্যাস্ততার বাইরে একটু সময় অপচয় করার সুযোগ পেয়ে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কয়েকদিন মিশতে পারলেই আমার সঙ্গে একমত হবেন।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ধর্ষন কম হয়। এটা দেখে যদি আপনি মনে করেন, শুধুমাত্র নারীর পর্দা নারীর শ্লীলতা রক্ষা করে তাহলে ভুল করবেন। শুধুমাত্র পর্দা যদি ধর্ষন বন্ধ করত তাহলে ইসলামে শুধু পর্দার কথাই বলা থাকতো, ব্যাভিচার, ধর্ষন ইত্যাদির শাস্তির কথা বলা থাকতো না। আইন ও তার যথাযত প্রয়োগ ধর্ষন বন্ধ করে। তাছাড়া নারীর পর্দার সাথে সাথে পুরুষেরও পর্দা আছে। না, সেটা শরীর ঢেকে রাখা নয়। চোখ ও কুপ্রবৃতি ঢেকে রাখা। পর্দা নারী পুরুষ উভয়কেই ব্যাভিচার থেকে নিরুতসাহিত করে বটে। তবে তা বন্ধ করতে আইন ও তার সঠিক প্রয়োগের বিকল্প নেই।

উন্নত বিশ্বে নারী প্রায় নগ্ন হয়ে চলাচল করে নিরাপদ থাকে এই যুক্তিটি একেবারেই ভুল। হ্যাঁ, ওমন চোখের সামনেই দেখা যায়। কিন্তু চোখের আড়ালে কি ঘটে সেটা অজানাই থেকে যায়। কোন দেশে কতগুলো ধর্ষন এর ঘটনা ঘটে, এসব সমীক্ষা যারা করে, তারা মিথ্যা বলে না, তবে একটু চালাকি করে। আপনি হয়ত জানেন, ভারত প্রতি বছর একটি অস্ট্রেলিয়া জন্ম দেয়। অর্থাৎ, প্রতি বছরে ভারতে বৃদ্ধি পাওয়া মানুষের সংখা অস্ট্রেলিয়ার মোট জনসংখার সমান। এখন অস্ট্রেলিয়াতে যদি সবাই ধর্ষন করে তবুও তারা ভারতের শতভাগের একভাগ ধর্ষন করতে পারবে না। কারন অস্ট্রেলিয়াতে অত লোকই নেই। যারা সমীক্ষা প্রকাশ করে, তারা মোট ধর্ষনের সংখা প্রকাশ করে। এটা না করে তারা যদি আনুপাতিক হার প্রকাশ করত তাহলে আমরা সঠিক ধারনা পেতাম। জানতে পারতাম উন্নত বিশ্বে ধর্ষন সবচেয়ে বেশী হয় (লিঙ্ক নীচে আছে)।

অস্ট্রেলিয়াতে বছরে প্রায় ৭ হাজার ধর্ষন হয়। যুক্তরাষ্ট্রে ৯ হাজার। বাংলাদেশ হয় ১৫ হাজার। ওদিকে ভারতে হয় প্রায় ২২ হাজার ধর্ষন। এই দেখে কেউ যদি ভারতকে ভারতকে ধর্ষনে চ্যাম্পিয়ন বানান তাহলে ভুল করবেন। এই চারটি দেশের মধ্যে ধর্ষনের হার সবচেয়ে কম হল ভারতে। ভারতে ১২১ কোটি লোকের দেশে ২২ হাজার ধর্ষন ওদিকে যুক্তরাষ্ট্রে ৩১ কোটি লোকের দেশে ৯ হাজার ধর্ষন। কোথায় বেশী, ভারতে নাকি যুক্তরাষ্ট্রে? অস্ট্রলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে এই দুটি দেশেই আনুপাতিক হারে, ভারতের চেয়ে ১৫ গুন বেশি ধর্ষন হয়। অর্ধ নগ্ন হয়ে চলাচল করে নারী সেখানে নিরাপদ থাকল কিভাবে? বাংলাদেশে ধর্ষনের হার ভারতের চেয়ে সাড়ে ৫ গুন বেশী।

আমাদের দেশে এই ধর্ষনের পেছনে বা নারীর শ্লীলতা হানীর পেছনে সবচেয়ে বড় কারন হল - আইনের অপব্যাবহার। আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে নেতাদের প্রিয় লোকেরা তো সব সময় ধরা ছোয়ার বাইরেই থাকে। এদের দাপটে ঘটনাস্থলে প্রশাসন থাকে নিষ্ক্রিয়। মামলা হলেও সেগুলোর থাকে শামুকের গতি। এছাড়া ইন্টারনেটের মাধ্যমে সারা বিশ্ব এসব লম্পটদের ছবি দেখতে পারলেও প্রশাসন তাদের অনেককেই শনাক্ত করতে পারে না, খুজে পাওয়া তো অনেক পরের কথা। মিডিয়া, প্রশাসন, রাজনীতিক নেতা এরাও সবাই মিলে দোষীদের আড়াল করার ঐক্যবদ্ধ চেস্টা করে। চোখের সামনে ঘটনা ঘটে। শত লোক এসবের ছবি তোলে। এর পরেই নেতা এটা কে ষড়যন্ত্র বলেন, প্রশাহসনের বড় কর্মকর্তা এটাকে গুজব বলেন, মিডিয়া অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপাতে চেস্টা করে। এর পরেও জনগনের ঠেলায় পড়ে এক সময় এর তদন্ত করা শুরু হয়। এর মধ্যে ফেসবুকে ছবি চালাচালিতে দোষীদেরকে পুরো দেশ চিনে ফেলে। কিন্তু প্রশাসন তদন্তই করে যায়, তাদেরকে কখনো খুজে পায় না। খুজে পেলেও বেশীদিন আটকে রাখতে পারে না।

একটা গল্প বলে শেষ করব। এক দুস্টু বালকের অত্যাচারে তার কোন গৃহশিক্ষক টেকে না। যে কোন নতুন শিক্ষককেই দুস্টুমীর প্যাচে ফেলে তাঁকে অতিস্ট করে তোলে। এসব কথা শুনে নতুন নিযুক্ত গৃহশিক্ষক ছেলেটির ম-বাবাকে বলল - চিন্তার কোন কারন নেই, আমি আপনার ছেলেকে সায়েস্তা করব। তবে আপনাদেরকে আমার সঙ্গে ছোট একটি অভিনয় করতে হবে। সেটা হল, আমি যখন আপনাদেরকে লাঠি নিয়ে তাড়া করব তখন আপনারা ভয়ে চিৎকার করবেন ও পালিয়ে যাবেন। এ আর এমন কি? ছেলের লেখা পড়াটা চালিয়ে যাবে এটা ভেবে মা-বাবা রাজী হয়ে গেল। প্রথম দিনই শিক্ষক লাঠি নিয়ে আসলেন। বালকটিকে বলছেন, এটা পার না, ওটা পার না কিছুই পার না, এর পরে আবার দুস্টুমী কর, ফাজিল কোথাকার। তোমার সব দুস্টুমির গোড়া হল তোমার মা-বাবা। ওদেরকে আগে পেটানোর দরকার। কোথায় ওরা , এই বলে লাঠি নিয়ে মা-বাবাকে তাড়া করল। মা-বাবাও চিৎকার করে পালাতে লাগল। এই দৃশ্য দেখে ছেলেটির গলা শুকিয়ে গেল। এর পরে সে আর ওই শিক্ষকের সাথে দুস্টুমি করতে সাহস পায়নি।

নারীর শ্লীলতাহানী প্রতিরোধে আমাদের জনগন যদি এভাবে নেতা আর দুর্নীতিবাজ প্রশাশনিক কর্মকর্তাকে ধাওয়া করতে পারত তাহলে সেটা দেখে অপরাধীদের কলিজা এমনিতেই শুকিয়ে যেত। একজন অপরাধী যখন জানে তার অপরাধের কোন বিচার হবে না তখন সে হয়ে যায় লাগামহীন। তাদের লাগাম টেনে ধরার দায়িত্ব নেতা ও প্রশাসনের। এই কাজটা যখন ওরা সঠিকভাবে না করে, তখন নেতা ও প্রশাশনকে ধাওয়া করা ছাড়া জনগনের সামনে আর কোন পথ খোলা থাকে না।

নিজের ছেলেকে যৌণ স্বাস্থ্য শেখানোর সেই আজব পরামর্শ 

বিশ্বে সর্বাধিক ধর্ষন এর দেশ সমুহ - ১

বিশ্বে সর্বাধিক ধর্ষন এর দেশ সমুহ - ২

Comments