খুনের লাইসেন্স

অনেকেই হয়ত জানেন না যে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ আমেরিকা পুরোটাই ঋণ এর উপরে চলে। গত অর্থবছরে আমেরিকার বাজেট ছিল ২৮ ট্রিলিয়ন ডলার। মজার ব্যাপার, তাদের মোট ঋণের পরিমানও একই। সবচেয়ে বড় ঋণদাতা দেশ চীন ও সৌদি আরব। সব ঋণদাতা দেশকে যদি টাকা ফেরত দিতে হয় তাহলে আমেরিকার জনগনকে পরনের প্যান্টটিও খুলে দিতে হবে।  এর পরেও বিভিন্ন রাজনীতির কারনে ওই ঋণদাতা দেশগুলো টাকা ফেরত চাইতে পারে না। আর আমেরিকা দেশটি  ধারের টাকায় বাবুগিরি করতে পারে। 


এই সমস্যার পেছনে সবচেয়ে বড় কারন হচ্ছে “রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ আমেরিকা” নামক তলাবিহীন এক ঝুড়ি। এই ব্যাঙ্কটি ডলার উতপন্ন করে ( ছাপায়)। আশ্চর্যের বিষয় হল – এই ব্যাঙ্কটি একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক।  অর্থাৎ বিশ্ব বাজার নিয়োন্ত্রন করে যে মুদ্রাটি সেটি বানায় আমারিকার একটি ব্যাক্তি মালিকানাধিন কোম্পানী। ডলার উতপাদনের উপরে সরকারের কোন নিয়োন্ত্রনই নেই। এই ব্যাঙ্ক ইচ্ছে মতন ডলার ছাপায় আর তার ভর্তুকি চাপিয়ে দেয় আমেরিকার সরকারে ঘাড়ে।  আমেরিকার সরকার ধীরে ধীরে সেই ভর্তুকি পুরন করতে করতে আজকে বিশ্বের সবচেয়ে ঋনগ্রস্ত একটি দেশ। শুধু তাই নয়, এর প্রভাব পড়ে আন্তঃজাতিক অর্থনীতিতে। দ্রব্যমুল্যের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারনও এটি। এমনকি সারা বিশ্বের র্থনৈতিক মন্দার কারন এই বেসরকারি ব্যাঙ্ক ও তার চুষে নেওয়া অর্থনীতি। 

মাত্র কয়েকশ ইহুদি আছে এই ব্যাঙ্ক চক্রে। অথচ তাদের কাছে গোটা আমেরিকা দেশটাই অসহায়। তারা ধীরে ধীরে আমেরিকার সব টাকা চুষে নিয়েছে। এর পরে অন্য দেশের কাছ থেকে যা ঋণ নিয়েছে সেটাও চুষে নিয়েছে। এখানেই শেষ নয়। এর পরে আমেরিকাকে বাধ্য করেছে অন্য দেশের সাথে যুদ্ধ করে টাকা যোগাড় করতে। আশ্চর্য হলেও সত্য, যুদ্ধে আমেরিকার কোন ক্ষতি তো হয়ই না বরং তারা আর্থিকভাবে ব্যাপক লাভবান হয়।  কারন এই যুদ্ধগুলি সবই তার দেশের থেকে বহু দূরে (মধ্যপ্রাচ্যে) হয়। আমেরিকার গায়ে এটা আচড়ও লাগে না। ওদিকে মধ্য প্রাচ্যের দেশটি দখল করে তার সমস্ত সম্পদ লুট করতে পারে। আমেরিকা আসলে যুদ্ধের নামে লুট করে। এছাড়া অন্য দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ বাধিয়েও আমেরিকা আর্থিকভাবে লাভবান হয়। এসব যিদ্ধে চলে আমেরিকার অস্ত্র বাণিজ্য। কিছু যুদ্ধে তো আমেরিকা সরাসরি অংশগ্রহন করে লুট করার সুযোগও পায়। 
   
নব্বই এর দশকের প্রথম দিকে আমেরিকার সেনা বাহিনীর কর্মকর্তারা একটা ভুয়া স্যাটালাইট এর ছবি দেখায়। সেই ছবিতে দেখা যায় যে ইরাক সৌদি আরবের সীমান্তে ট্যাঙ্ক নিয়ে এসেছে, আক্রমনের প্রস্তুতি হিসাবে। সৌদি আরব রক্ষা করবে এই ছুতোয় ইরাক আক্রমন করে লক্ষ লোক মেরে ফেলে। ইরাকের তেলের খনিসহ অনেক সম্পদ লুট করে।  এর দশ বছর পরে, ঋনের ঠেলায় আবার হয়ত প্যান্ট খোলার উপক্রম হয়েছিল। তখন আমাদেরকে টুইন টাওয়ার আক্রমনের নাটক দেখালো। কোথাকার কোন তালেবান, লাদেন এসব ইজুহাতে আবার আফগানিস্থান আর ইরাক আক্রমন। দশ লক্ষ লোকের মৃত্যু হল। ব্যাপক লুট হল। এমনকি মাত্র দুই বিলিয়ন ডলার আত্মসাদ করার জন্য সাদ্দাম হোসেনের দুই ছেলেকে হত্যা করে। ওই কেলেঙ্কারী লুকাতে এক দেখানো বিচারে দ্রুত সাদ্দাম হোসাইনের ফাঁসী দেয়। এছাড়া আমেরিকা নিজে সবচেয়ে বেশী পরমানু অস্ত্রের মালিক হয়েও অমুক দেশে পরমানু অস্ত্র আছে এই ছুতোয় সারা দেশ লুট পাট করেছে এমন নজির আমাদের সামনে রয়েছে। সবশেষে আমরা সাম্প্রতিক প্যারিসের হত্যাকান্ড দেখলাম। ঘটনাস্থলে নাকি দুষ্কৃতিকারীর পাসপোর্ট পাওয়া গেছে। দুষ্কৃতিকারীরা গুলি করতে আর বোমা মারতে পাসপোর্ট নিয়ে যায় এবং সেখানে ফেলে রেখে আসে – এমন একটি কাচা হাতে বানানো নাটক বিশ্ববাসীকে বিশ্বাস করাতে চায়। 

এসব যুদ্ধ, হানাহানি, ও লুটতরাজ এর মুল কারন হল আমেরিকার আর্থিক ভর্তুকি এমনভাবে সামাল দেওয়া যেন ঋণ শোধ করতে আর প্যান্ট খুলে না দেওয়া লাগে। আর এই ভর্তুকি সৃস্টি করে ওই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ আমেরিকা। সরকারি টাকা বানানোর অধিকার সরকারের নেই, সেই টাকা ইচ্ছেমতন বানায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। বিশ্বের আর কোন দেশে এমন অদ্ভুত পদ্ধতি আছে বলে আমার জানা নেই।  অনেকে হয়ত ভাবতে পারেন, আমেরিকার সরকার ওই ব্যাঙ্কটিকে সরকারী করে নিলেই পারে।  হ্যা, সেই চেস্টা আমেরিকার অনেক প্রেসিডেন্ট করেছেন এবং ব্যার্থ হয়েছেন। সর্বশেষে ও সবচেয়ে শক্তভাবে এই চেস্টাটা যিনি করেছিলেন তিনি হলেন জন এফ কেনেডী। ৬০ এর দশকে, আমেরিকার এই প্রাত্তন প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় থাকাকালীন অবস্থায় প্রকাশ্য দিবালোকে হাজারো মানুষের সামনে দূর থেকে আসা আততায়ীর গুলীতে নিহত হন। এর পরে আর ওই ব্যাঙ্কটিকে সরকারী করনের সাহস কারো হয়নি। আমেরিকার বড় বড় প্রেসিডেন্ট সবাই ওই ইহুদী চক্রের কাছে জিম্মি। 

এই ইহুদী চক্র আমেরিকাকে দিয়ে সন্ত্রাস ও হানাহানি করিয়ে ধীরে ধীরে বিশের সব টাকা চুষে নিবে। ওদের কাছে রয়েছে খুনের লাইসেন্স। মধ্যপ্রাচ্য শেষ করে এর পরে দক্ষিন পুর্ব এশিয়া ও দক্ষিন আমেরিকা ধরবে। এর পরে ধরবে ইউরোপকে। এখন খ্রিস্টনেরা ইহুদীদের মিত্র হলেও অবশেষে খ্রিস্টানেরা এই রক্তচোষা ইহুদীদেরকে হাড়ে হাড়ে চিনিতে পারবে। যদিও সেদিন অনেক দেরী হয়ে যাবে। তখন খ্রিস্টান আর মুসলমান বাহিনি এক হয়ে ইহুদী ধংশ ধংশ। আর সেই সময় ইহুদী জাতী ডাইনোসারের মতন বিলুপ্ত হয়ে যাবে।   

Comments

  1. খুব ভালো লেখছেন, আপনার লেখা গুলো আমার খু্ব ভালো লাগে,

    ReplyDelete

Post a Comment