করোনা সঙ্কটে শপিং মল খোলে, তবে মসজিদ বন্ধ

জাকার্তায় শপিং মলের ভেতরে নামাজের ঘর






মুসলিম সংখায় বেশী হলেও, আমরা ইসলামিক নই। আমরা সর্বদা অনিসলামিক ও মাঝে মাঝে ইসলাম বিরোধী আচরণ করি। আমরা হারাম উপার্জনে ওস্তাদ।ইসলামিক লোকজন আমাদের কছে এতটা হেয় যে, সীমিত জ্ঞান ও সীমিত দক্ষতা বোঝানোর জন্য আমদের বাগধারা - মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত।  

আমদের বদ্ধমূল ধারনা, ইসলামিক হলে, তাকে দরিদ্র হতেই হবে। মহানবী (সা) এর আমলের খাদ্যের অভাব বর্ণনা করে - ইসলামিক লোকই এটার প্রচার করে। এ কারনে দেশের মানুষ ইসলামিক লোকদেরকে একটা দরিদ্র, সুবিধা-বঞ্চিত শ্রেণীতে ফেলে রাখতে চায়। ইসলামিক নেতা একবার হেলিকপ্টারে চড়লে , টাকা কোথায় পায়, তার গবেষণা শুরু হয়। ওদিকে মন্ত্রী বারবার হেলিকপটারে চড়লেও কেউ কিছু বলে না।

আমরা ইসলামকে মসজিদে ও মাদ্রাসাতে আটকে রেখেছি। ইসলামকে ঘরে ঢুকতে দেইনি, ইসলাম দিয়ে আমাদের জীবন সাজাইনি। এ কারণেই আমাদের আন্ত:জাতিক মানের শপিং মলে, নামাজের জন্য একটি মুরগির ঘর থাকে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশী মসজিদ আছে ঢাকা শহরে। ওদিকে ইন্দনেশিযার রাজধানী জাকার্তায়, সব জায়গায় নামাজের ব্যবস্থা আছে। ওর আমাদের মতন, নামাজের জন্য মুরগির ঘর বানায় নি। যেমন বিলাসবহুল শপিং মল, ঠিক তেমন বিলাসবহুল এর নামাজের ঘর। (উপরে ছবি:দেখুন)।

আমরা আমদের জীবনে ইসলামকে আনতে পারলে, মসজিদ বন্ধই হতো না। অসুস্থ লোক মসজিদে যেতো না। বেশী সাবধানী লোক মসজিদে যেত না। কিন্তু, মসজিদ ঠিকই খোলা থাকতো।
আমাদের জীবনে ইসলামকে আনতে পারিনি বলেই, আমাদের কছে মসজিদের গুরুত্ব, পোশাক কারখানা অথবা বাজারের চেয়েও কম।

Comments