লক-ডাউন, শাট-ডাউন ; ফাইজলামী

মানুষের করোনা ভীতি দেখে, গত দেড় বছর ধরে মানুষকে বোঝাতে বোঝাতে, আমি ক্লান্ত। পরে বোঝা গেল, মানুষের এই ভীতি দূর করতে হলে, একটাই উপায় আছে। সেটা হল - করোনা জিনিসটাকে একটা ফাইজলামী বানিয়ে দিতে হবে। আল্লাহ এই অধমের দোয়া কবুল করেছেন। করোনাকে ফাইজলামী না বানাতে পারলেও, বীর জাতি লক-ডাউন জিনিসটাকে ফাইজলামী বানিয়ে দিয়েছে। 

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে, লক-ডাউনে কি বন্ধ থাকবে, এ ব্যাপারে ২১টি শর্ত দিয়ে, একটি আদেশ জারী করা হয়েছে। তার মধ্যে বাছাই করা, তিনটি আদেশ দেখে আমি মুগ্ধ।

  • ১২। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত কাচা বাজারে যাওয়া যাবে। 
  • ১৩। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য, ওষুধ ইত্যাদি, কেনার জন্য বের হওয়া যাবে (সময় উল্লেখ নেই)
  • ১৫। সকাল ৮ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত, খাবারের দোকান থেকে, খাবার কিনে আনা যাবে।

এই তিনটি আদেশ, খুব ভালো করে বারবার পড়ুন। কি বুঝলেন? 

- বউয়ের হাতে লেখা বাজারের লিস্ট ও বাজারের ব্যাগ হাতে থাকলে, আপনি সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা এর ভেতরে যে কোন সময় বাইরে বের হতে পারবেন।

-খাবার কেনার লিস্ট ও রেস্টুরেন্ট এর নাম ঠিকানা বলতে পারলে, সকাল ৮ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত যে কোন সময়, বাইরে বের হতে  পারবেন।

- কোন কায়দা করে, একটা ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন যোগাড় করতে পারলে, সারা রাত বাইরে বের হতে পারবেন। 

এক কথায় - এই লক-ডাউনের আদেশ মেনেই, আপনি সারা দিন রাত বাইরে বের হতে পারবেন

বোনাসঃ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনার জন্য যে কোন সময় বের হওয়া যাবে। নিত্য প্রয়োজনীয় কথাটির অর্থ - প্রতিদিন যেটা প্রয়োজন। আমার কাছে চাল-ডাল যেমন নিত্য প্রয়োজনীয়, ঠিক তেমনি, সিগারেটও নিত্য প্রয়োজনীয়। টাকা খরচ করে, প্রয়োজনীয় কিছু কিনি না। সিগারেট কিনতে বাইরে গেলে, সেটা কি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মেনে নিবে?            

যথাযত কতৃপক্ষর কাছে অধমের অনুরোধ - নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের একটি সঠিক তালকা প্রকাশ করুন। নইলে, দেশে এমন কিছু মানুষ আছে, যাদের কাছে ইয়াবাও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য। 



Comments