দেশী-বিদেশী জঘন্য প্রবাদ

(সতর্কতা: জঘন্য ও অশ্লীল) প্রতিটি ভাষায় প্রবাদ আছে।  প্রবাদ জিনিসটা  হল ....... একটি কথা বলা হচ্ছে, কিন্তু তার আড়ালে অন্য একটি কথা লুকিয়ে আছে। যুগ যুগ ধরে, এসব প্রবাদ চলে আসছে। 
বাংলায় প্রবাদ আছে 
- নাচতে না জানলে উঠান বাকা।
এখানে কিন্তু নাচ অথবা উঠানের কথা বলা হয়নি। এখানে বলা হয়েছে - নিজের  ব্যর্থতা ঢাকতে, মানুষ অন্যেকে দোষ দেয়। এই একই প্রবাদ হিন্দীতে রয়েছে- নাচনা নেহী আতে তো আঙ্গন তেড়া। 

পুরো ভারতবর্ষের প্রবাদ - সরকারী মাল, দারিয়া মে ঢাল। অর্থাৎ, সরকারি জিনিস নষ্ট কর। ইউরোপ আমেরিকাতে এই ধরনের প্রবাদ পাবেন না। সরকারী জিনিস যে নষ্ট করতে হয়, সেটা ভারতবর্ষের মানুষের মতন আর কেউ জানে না। 

ভিন্ন জাতি ও ভাষা হলেও, কাছাকাছি ধরনের প্রবাদ হতে পারে। ইন্দোনশিয়ার প্রবাদ Tong kosong nyaring bunyinya.(খালি কলসী বাজে বেশী)। এর অন্ত:নিহিত অর্থ- যার জ্ঞান কম, সে বেশী প্রদর্শন করে। 

ব্রিটিশ প্রবাদ- Same wine in a different bottle. এর অন্ত:নিহিত অর্থ হল - একই জিনিস ভিন্ন মোড়কে। এই কথাটাই অস্ট্রেলিয়াতে বলে- Same shit in different smell. (একই হাগু, ভিন্ন গন্ধ)। কতখানি জঘন্য চিন্তা-ভাবনা হলে এমন প্রবাদ হতে পারে !!

আমাদের প্রবাদ আছে- দুই নৌকায় পা দেওয়া। এর অর্থ হল, একই সাথে দুই দলে থাকা। এই জিনিসটিকে  ফ্রান্সে বলে -  Avoir les fesses entre deux chaises. (দুই চেয়ারের মাঝে পাছা রাখা)। আমরা পা রাখি, আর ওরা কি রাখে ?

আমাদের প্রবাদ আছে - কাক ডাকা ভোর। এর অর্থ, হল, সকালের শুরুর সময়। ফিনল্যান্ডে এই জিনিসটি বলে- Ennen sian pieremää (শূকরের পাদের সামনে)। আমরা সকালে উঠে কাকের ডাক শুনি। ওদিকে ফিনল্যান্ডে কিসের গন্ধ শোকে?

বাংলায় প্রবাদ আছে - আকাশ ভেঙ্গে পড়া। এর অর্থ হল, এমন বড় কোন বিপদ হওয়া যাতে মানুষ হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পর্তুগালে এই কথাটা বলে- É de cair o cu da bunda (পাছা  খসে পড়া)। আমাদের, আকাশ খসে, আর ওদের কি খসে পরে?  

বাংলা প্রবাদ - নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো। এর অর্থ, কোনকিছু না থাকার চেয়ে, সামান্য কিছু থাকা ভালো। এই কথাটি থাইল্যান্ডে বলে- อึดีกว่าผายลม (পাদের চেয়ে হাগু ভালো)। জঘন্য ও অশ্লীলতার চরম সীমায় পৌছে গেছি। আর নীচে নামবো না। 

এতক্ষণ ধরে বিভিন্ন জাতির, এক ধরনের বদনাম করলাম। এটা খুব স্বাভাবিক। শুধু আমি নই , পুরো একটি জাতি, অন্য জাতিকে দোষারোপ করে। বাংলা চুমু কথাটিকে ইংরেজিতে Kiss বলে, আর ফ্রান্স এ Bisous বলে। 
ঠোটে চুমু দেওয়াকে ইংরেজীতে Frence-Kiss (ফ্রাঁন্সের চুমু) বলে।  অথচ, এই জিনিসটাকে ফ্রাঁন্সে English-Kiss (ইংরেজী চুমু) বলে। 
অর্থাৎ, কেউই নিজের ঘাড়ে দোষ নিবে না। একে অন্যকে দোষারোপ করবে। 

Comments