জনতা থেকে উঠে আসা নেতা

অনেক মজা করে এটাকে Mango People বলে থাকে, কিন্তু আম জনতা কথাটির ইংরেজী হল Common People। ইংরেজী ভাষা, কাজেই এটা ব্রিটেন থেকেই শুরু হয়েছে। তারা মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করেছিল। রাজকীয় (Royal) মানুষ ও আম জনতা (common)। রাজ পরিবারের লোকজন বংশপরম্পরাতে আম জনতাকে শাশন করে গেছে। যদিও আজকের যুগে ব্রিটেন হল গনতন্ত্রের একটি মডেল। 

আম জনতার ভেতর থেকে নেতা বা শাশক বের হতে পারে, এই জিনিসটা সবচেয়ে বেশী মানুষকে জানিয়েছে - আমেরিকা। আমেরিকাতে চাষীর ছেলে, কাঠুরিয়ার ছেলে, প্রেসিডেন্ট হয়েছে। এই জিনিসটা সেই আমলের জন্য একটা ঐতিহাসিক পদক্ষেপ ছিলো। এর পরে, ধীরে ধীরে সকল উন্নত দেশেই আদর্শ গনতন্ত্রের চর্চা হয়ে আসছে। বেশী দূরে যেতে হবে না, আমাদের পাশের দেশ ভারতেই, চা-ওয়ালা প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেছে। 

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডেন এর বয়স মাত্র ৪০ বছর। এক সময় ছাত্র রাজনীতিতে ছিলেন। কয়েক বছর আগেও, তিনি পথে পথে আন্দোলন ও সমাবেশ করে বেড়িয়েছেন। তাকে কিছুটা আমাদের দেশের ভিপি নূরের সাথে তুলনা করতে পারেন। তাদের দুজনের হয়তো আদর্শগত কোন মিল নেই। কিন্তু নুরের মতন এমনই স্টাটাস (ছোট নেতা) ছিল নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর। নুরের মতন এমন ছোট নেতা কি কোনদিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে? 

ভুল বুঝবেন না। আমি নুরের সমর্থক নই। তার ব্যাপারে তেমন কিছু জানি না। ভবিষ্যতে তাকে প্রধানমন্ত্রী দেখতেও চাই না। আমি শুধু এটা দেখতে চাই - আম জনতার মধ্য থেকে উঠে আসা, ছোট কোন নেতা, ভবিষ্যতে প্রধানমন্ত্রী হোক। আপনারা নুরকে চিনেন বলেই, নুরকে দিয়ে উদাহরন দিয়েছি।

ব্রিটেন রাজকীয় মানুষ ও সাধারন জনগনের ভিন্ন গোত্র ও মর্যাদা বানিয়ে রেখেছিল, কিন্তু এখন তাদের দেশে আম জনতার মধ্য থেকেই একজন নেতা হতে পারে। কিন্তু আমরা "রাজকীয়" জিনিসটাকে এখনো এমনভাবে আকড়ে রেখেছি যে, বংশীয় লোক না হলে, তাকে আমরা রাস্ট্রনেতা বানাতে চাই না। 

Comments