ইসলামিক আইনে পাথর মারা শাস্তির কারন

ব্যাক্তি-স্বাধীনতা, মানবাধিকার, সাম্য, অর্থনৈতিক মুক্তি এই জিনিসগুলো আসলে কি, সেটা আমাদের ভারতবর্ষে দেখা যায় না, বোঝাও যায় না। আপনারা হয়তো এই তিনটি ছবি আগেও দেখেছেন। এই ছবিতে তেমন দুই-একটি বিষয় বোঝা যায়।

কানাডাঃ প্রধানমন্ত্রী একটি লোকাল রেল-স্টেশনে জনগণের সাথে ছবি তোলে। এই ঘটনার কয়েক মিনিটের ভিডিও, ইউটিউব ফেসবুক ইত্যাদিতে পাওয়া যাবে। অবশ্য, কানাডার প্রধানমন্ত্রী প্রতিদিন এমন করে না। তবে, যে দেশের প্রধানমন্ত্রী রাস্তার অচেনা লোকজনকে জড়িয়ে ধরে, সেই দেশের কোন এমপি যদি রাস্তা বন্ধ করে, জনগনকে আটকে রেখে, নিজে লাল বাতি জ্বালিয়ে রাস্তার উল্টো দিকে যায়, সেই এমপিকে আপনি কি করবেন? - তাকে পাথর ছুড়ে মারবেন।

অস্ট্রেলিয়াঃ জঙ্গলের প্রানী রাস্তায় এসে মানুষের কাছ থেকে নির্ভয়ে পানি পান করে। আমাদের শহরের রাস্তায় যেমন কাক থাকে, ওদের শহরে থাকে কবুতর। আমি নিজেও এমন রাস্তার কবুতরকে হাতে নিয়ে রুটি খাইয়েছি। পশু-পাখি একটুও ভয় পায় না। যে দেশে পশু-পাখি নির্ভয়ে থাকে, সেই দেশে কেউ যদি মানুষেকে ভয় দেখায়, অথবা কাউকে মারতে চায়, তাকে আপনি কি করবেন? - তাকে পাথর ছুড়ে মারবেন।

জাপানঃ একজনের একটি পোষা পেঙ্গুইন ছিলো। সেটা ফ্রিজের মধ্যে থাকতো। মাঝে মাঝে, পিঠে ব্যাগ নিয়ে, একা একা হেটে, মাছ বাজারের বিনামূল্যে মাছ সংগ্রহ করতে যেতো। যে দেশে একটা পাখি, একা বাজারে গিয়ে নিজের জন্য মাছ সংগ্রহ করে নিরাপদে ফিরে আসতে পারে, সেই দেশে কেউ যদি স্কুলগামী শিশু অপহরন করতে চায়, তাকে আপনি কি করবেন? - তাকে পাথর ছুড়ে মারবেন।

উপরে যে তিনবার পাথর মারার কথা বললাম, এমন পরিস্থিতিতে ভারতবর্ষে পাথর মারা যায় না। কারন, এই পরিস্থিতিগুলো আমাদের দেশে সামান্য ব্যাপার। আমাদের আরো বড় সমস্যা আছে। অর্থাৎ, সামান্য কারনে পাথর মারাটা হলো, কম সমস্যা থাকার লক্ষন।

অমুসলিম তো বটেই, মুসলিমদের মধ্যেও ইসলামিক রাস্ট্র, শরিয়া আইন নিয়ে ভুল ধারনা আছে। ইসলামিক রাস্ট্র আর শরিয়া আইন কি জিনিস, সেটা সবচেয়ে ভালো দেখিয়েছেন ইসলামের প্রথম দিকের প্রেসিডেন্ট, চার খালিফা (খালিফা রাশেদিন)। প্রেসিডেন্ট ওমর (রা) নিজের পিঠে খাবারের বস্তা নিয়ে জনগনকে দিয়েছে। নিজের কেন দুইটা জামা, সেটার জন্য জনগনের কাছে জবাবদিহী করতে হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ওসমান (রা) টুপি সেলাই করে সংসার চালাতেন। প্রেসিডেন্ট আলী (রা) একজন জামা চোরের কাছে, আদালতে মামলা হেরেছে।

যে দেশের প্রেসিডেন্ট এমন হয়, সে দেশে কেমন মানবাধিকার আর সাম্য থাকে? তেমন স্বপ্নের মতন দেশে কেউ অপরাধ করলে, তাকে পাথর মারা ছাড়া আর কি করবেন?

মুসলমান জাতির সবচেয়ে বড় ব্যার্থতা হলো, সারা দুনিয়াতে একটিও আদর্শ ইসলামিক রাস্ট্র নেই। মুসলমানেরা শুধু পাথর মারা নিয়ে বসে আছে। ওদিকে, ইসলামিক আদর্শ বাস্তবায়ন করে, পশ্চিমা দেশগুলো নিরাপদ হয়েছে।

বিস্তারিতঃ



Comments