আপনার মাযহাব কি?


মাযহাব কথাটি তিনটি ভাষায় আছে। তিনটি ভাষায় ভিন্ন অর্থ। আরবীতে মাযহাব (مذهب) কথাটির অর্থ - মতবাদ। ফারসী ও উর্দুতে মাযহাব  (مذهب) কথাটির অর্থ - ধর্ম। আমরা এই মাযহাব কথাটি আরবদের কাছ থেকে শিখিনি। আমরা কথাটি শিখেছি উর্দুভাষীদের কাছ থেকে। যেজন্যই আমরা মাযহাব কথাটির মানে মতবাদ না বুঝে ধর্ম বুঝেছি।

ফেয়ার এন্ড লাভলী (রঙ ফর্সা করা ক্রিম) ব্যাবহার করাটা কি জায়েজ?

কোরআন ও হাদিসে এই প্রশ্নের উত্তর নেই। সরাসরি উত্তর না থাকলেও, কোরআন ও হাদিসে বিভিন্ন নির্দেশনা আছে। সেই নির্দেশনা অনুসরন করে, বের করতে হবে, ফেয়ার এন্ড লাভলী যায়েজ কিনা। এই বিষয়ে বিভিন্ন মানুষের মতভেদ থাকতে পারে। কেউ হয়তো জায়েজ বলবে ; কেউ হয়তো নাজায়েজ বলবে। 

এতক্ষণ ফেয়ার এন্ড লাভলী ব্যাপারে যেটা বললাম সেটার নাম - ফতওয়া (توى‎;) ; বাংলায় - সমাধান

কোন একটা নতুন বিষয়ে কোরআন ও হাদিস অনুসারে সমাধান বের করাকে ফতওয়া বলে। যে চারজন ঈমাম এর নামে মানুষ চারটি দল এমনকি চারটি ধর্ম বানিয়ে ফেলেছে - তারা সবাই ফতওয়া দিয়েছেন।

বিষয়টা খুব ভালোভাবে বুঝুন - চারজন ঈমাম কোন দল বানায় নি। তারা কোরআন ও হাদিস অনুসরন করে, বিভিন্ন ফতওয়া (সমাধান) দিয়েছেন। আপনি নিজে সমাধান বের করতে পারেন না ; তাই তাদের দেওয়া সমাধান অনুসরন করবেন। ব্যাস, বিষয়টা ওখানেই শেষ। ওই চারজনকে নিয়ে আলাদা চারটি দল বানানোর কোন দরকার নেই। 

লা মাযহাবী নামক একটি দল আছে, যারা ওই চারজন ঈমাম কারো ফতওয়া মানে না। এটাও একটা ভুল পদ্ধতি। আপনি নিজে সমাধান বের করতে পারেন না ; অন্যের দেওয়া সমাধান মানবেন না। তাহলে আপনি কি করবেন? এটা আসলে, ইসলামিক নিয়মকানুন পালন না করার একটি অজুহাত।

মাযহাব বিষয়ে আমাদের করনীয় হলো ; এই একটা জিনিস বুঝতে হবে - মাযহাব কোন দল নয়। চারজন ঈমাম দল বানায় নি। তারা ফতওয়া দিয়েছেন ; ইসলামিক প্রশ্নের সমাধান দিয়েছেন। সেই সমাধান মেনে নেওয়াটা ফরজ বা ওয়াজিব নয়। 

আপনি সেই সমাধান মানবেন, নাকি না মানবেন, সেটা আপনার ব্যাপার। তবে, দয়া করে ওই সমাধানের নামে, আলাদা চারটি দল বানাবেন না।     

দ্রষ্টব্যঃ ছবিটা চার ঈমামের প্রকৃত ছবি নয়। 

Comments